Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ

ধরলা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুড়িগ্রামের ধরলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকিতে পড়েছে জেলার একমাত্র শহর রক্ষা বাঁধ, ঘড়-বাড়িসহ নানা স্থাপনা। দির্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসলেও প্রশাসনের নীরব ভুমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। প্রতিদিন দুই শতাধিক ট্রাক্টরের প্রতিটি থেকে দুইশ’ টাকা করে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা অবৈধভাবে আয় করছেন এই সিন্ডিকেট। দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধরলা নদীর পশ্চিম তীর রক্ষা বাঁধের পুরাতন সিএন্ডবিঘাট, আটা খাওয়ার চর এবং এক ও দুই নং টিবাঁধের কাছ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় সিন্ডিকেট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার চিহ্নিত বালু খেকো গোলজারের নেতৃত্বে আজগর, কোহিনুর, রাজু, কালাম, আশরাফুল, ফরহাদ ও জাভেদের নেতৃত্বে ১২/১৫ জন বালু উত্তোলনে উৎসবে মেতে উঠেছে। বাঁধের নিচে বসবাসকারী রহিমা, সালেকা, নূরে আলম ও সাইফুল জানায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই বালু তোলা চলছে, এতে করে তাদের ঘর-বাড়ি যেমন ভাঙনের মুখে পড়ছে তেমনিভাবে ভাঙনের মুখে পড়বে শহর রক্ষা বাঁধ।
ট্রাক্টর চালক সহিদুল, সুমন মিয়া ও শফিকুল জানান, ট্রাক্টর প্রতি ২০০ খেকে ৩০০ টাকা করে দিয়ে তারা বালু কিনে নিয়ে যান। টাকা আদায়কারী আব্দুর রব বলেন, আমি ৩০০ টাকার দিন মজুর, এক নং টিবাঁধ এলাকায় ট্রাক্টর প্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করে গোলজারের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের কাছে জমা দেই। দিনে গড়ে ৪০/৪৫ হাজার টাকা আদায় হয়। এ হিসাবে মাসে আদায় হয় ১২/১৪ লাখ টাকা। এ টাকার হিস্যা অনেককেই দিতে হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গোলজারের মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সিন্ডিকেটের অপর সদস্য জাভেদ বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বালু তোলার সাথে জড়িত নন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। তবে এ ফোন আলাপের পর তিনি একাধিক প্রতিনিধি এ প্রতিবেদকের কাছে পাঠান নিউজ না করার তদবির নিয়ে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে শীঘ্রই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ