ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মারধরকারী ওই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের মির্জা সোহাগ। তিনি শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অপরদিকে মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মী হলেন আমিনুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরারবর দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘প্রধান ফটকে দায়িত্বরত অবস্থায় বহিরাগত এক মেয়ে এসে আমার হাতে একটা ফোন ধরিয়ে দেয়। আমি তাকে সালাম দিলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় উনাকে (বহিরাগত মেয়ে) ভিতরে যেতে দিতে। এ সময় আমি বলি বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ আছে। তাই আমাদের সজল স্যারকে ফোন দিতে বলি। কিন্তু তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেন। পরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এসে আমাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আমি ভয়ে রুমের ভিতরে ঢুকে যাই। কিন্তু তিনি আমোকে রুমের ভিতর থেকে বের করে এনেও মারতে থাকেন।’
এতে তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারকলা বিভাগের এক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। স্যার এর কারনে আমি জীবন রক্ষা পায়।”
এ বিষয়ে মারধরকারী শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, “তাকে আমি আমার বান্ধবীকে ভিতরে ঢুকতে দিতে বললে সে ঢুকতে দেয় নাই। তাই আমি সেখানে গিয়ে জানতে চাইলে তার সাথে আমার বাকবিতান্ডার এক পর্যায়ে আমি তাকে লাথি মারি। কিন্তু তাকে আমি মারার উদ্দেশ্যে লাথি মারি নাই। পরে ঘটনাস্থলে এক শিক্ষক আমাকে চলে যেতে বললে আমি চলে আসি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, “আমি এখনো অভিযোগ পত্র পাইনি তবে বিষয়টা শুনেছি। অভিযোগ পত্র পেলেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো: জেফরুল হাসান চৌধুরি সজল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমার নিরাপত্তাকর্মীর সাথে যা হয়েছে, আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বন্ধ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করানোর জন্য ওই ছাত্র যা করেছে তা ছাত্র শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থী। অতি দ্রুত ডিসিপ্লিনি বোর্ড ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।