বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : কলকাতার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল কিরণমালা দেখাকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চার ঘণ্টা জুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আহত হয়েছে তিন শতাধিক। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কমপক্ষে ১০ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল বাজারে শাকির রেস্টুরেন্টে কিরণমালা দেখা নিয়ে ধল গ্রামের রেবা ও হাফসার সঙ্গে শেফালীর বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন রেস্টুরেন্টে এসে ঝগড়ায় জড়ায়। এ সময় রেস্টুরেন্টের মালিক কামরুলসহ পাঁচ জন আহত হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রাতেই বিষয়টি সমাধান করে দেন।
এরই জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের লোকজন বাজারের পাশের একটি খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
ভোর ছয়টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে যায়, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিনুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে গুলি ও টেটা বিদ্ধ অবস্থায় আতর আলী, নানু মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, মোশারফ, খেলু মিয়া, টেনুকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর দুই শতাধিক আহত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ইয়াসিনুল হক বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।