বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার আইলচারা এলাকায় এক গৃহবধূকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আসামীদেরকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-৯৬। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০২০ (সংশোধনী ৯(৩)/৩০ ধারা মতে দায়ের করা হয়েছে।
মামলা করে ওই গৃহবধূ আরও বিপাকে পড়ছেন। মামলার আসামী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। যে কোন সময় ওই নারী ও তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করতে পারে। এমনকি মামলা তোলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে ধর্ষকরা। এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে আটক করেনি কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। আসামীরা এখনও অধরা।
মামলায় আসামীরা হলেন-শামসের মালিকের ছেলে আব্দুর রশিদ মালিথা, মৃত আরব আলীর ছেলে ইজিবাইক চালক কুটি, সাইফুল ইসলাম খুনকার এবং আফজাল বিশ্বাসের মেয়ে চায়না বেগম। আসামিদের সবাই কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার কবুরহাট মালিথা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ধর্ষিতা গৃহবধূ বলেন, ওই ধর্ষকরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে আমার শিশু সন্তানকে জিম্মি করে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি অনেক চেষ্টা করেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাইনি। তারা আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং আমার শরীরে কামড়ে জখম করে।
ওই আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। তার মতো এ রকম আর কোন নারী ধর্ষণের শিকার না হয়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে (২৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ওই গৃহবধূ মায়ের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা থেকে ইজিবাইক যোগে কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ জানায়, মায়ের বাড়ি থেকে সে ও তার শিশু সন্তান নিজ বাড়িতে ইজিবাইক যোগে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে । অজ্ঞাত দুইজন চোখ বেঁধে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে । পরবর্তীতে ইজিবাইকে তুলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মজমপুর গেটে এসে পরিবারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ভাষ্যমতে, তার সন্তানকে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
আসামীদের গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে জানার জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।