Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর উপর সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের সাধারণ আলোচনা

বঙ্গবন্ধুকে মরনোত্তর নোবেল প্রাইজ দেওয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শান্তিতে মরনোত্তর নোবেল প্রাইজ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা। জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু ও জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় আরো অংশ নেন ডা. আ ফ ম রুহুল হক, রমেশ চন্দ্র সেন, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, হইপ মো. ইকবালুর রহিম, আ ক ম বাহাউদ্দিন ও সুবর্ণা মোস্তফা এবং বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ, গণফোরামের মোকাব্বির খান প্রমূখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আমীর হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায়ই স্বাধীনতা এসেছে। বঙ্গবন্ধু যখন যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী ছিলেন, তখন এই বাংলাদেশে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের ওই সরকারের আমলে বিচার বিভাগ প্রশাসন থেকে মুক্ত হয়। ২১ ফেব্রæয়ারিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের ওই সরকারের সময়ই চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং চীনের নেতা চো এন লাই বাংলাদেশে আসেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, সোনার বাংলা গড়ার কাঠামো তৈরি করে গিয়েছিলেন। তার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই স্বপ্নের সাধ পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আজ নেই কিন্তু তাঁর প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে সফলতা লাভ করছি। আমির হোসেন আমু বলেন, পাকিস্তানিরা চিরদিনই এদেশের মানুষদের নিয়ে খেলেছে, বাঙালিদের সব সময় পদানত করে রাখার চেষ্টা করেছে। এটা উপলব্ধি করতে পেরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ১৯৬১ সালেই বঙ্গবন্ধু আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তানিদের অত্যাচার-নির্যাতনের চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি ৬ দফা প্রস্তাব দিয়ে তার সমর্থনে যেখানেই সভা করেছেন সেখানেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাইকার্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি আবার সভা করেছেন। এরপর তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নিয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। আর তাঁর কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
জাপার নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে এতিম করা হয়েছে। খুনীদের বিচার হলেও নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হয়নি। ওই ঘটনায় যারা নিরব ছিলেন তাদেরও বিচার হওয়া দরকার। সেই সময়ের রাষ্ট্রীয় ও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের বিচার করতে হবে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিলো। সেখানে জাতীয় পার্টির একটু হলেও অবদান ছিলো। এরপর ২০০৮ সাল থেকে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি। মন্ত্রীসভাতেও ছিলাম। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছি। এই সরকারের উন্নয়নে আমরা অবিভূত। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জাতির শেষ ঠিকানা- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাশেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার-সংসদ সকল স্থান থেকে রাজকারদের বিতাড়িত করতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাস্তবায়নের আহŸান জানিয়ে হুইপ ইকবালু রহিম বলেন, সংসদে ও সংসদের বাইরে বঙ্গবন্ধু কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছিলেন। দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ও চোরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার আহŸান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা উন্নত দেশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ