পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় এই ছুটি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন করে এই ছুটি আরও বৃদ্ধি করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমান এবং এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, ইতোমধ্যে চলতি বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমান, জেএসসি-জেডিসি, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীসহ সকল স্তরেই পরীক্ষা ছাড়াই অটো পাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এজন্য এবার কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না। পাবলিক পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্যও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফলে এসব শিক্ষার্থীর এ বছরে আর কোন ক্লাস কিংবা পরীক্ষা গ্রহণের কোন প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে আগামী বছরের এসএসসি, দাখিল ও সমমান এবং এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা করোনার কারণে চলতি বছর তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারেনি। যদিও এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো, কিন্তু ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও ডিভাইস স্বল্পতার কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীই এর বাইরে ছিলেন। একারণে তাদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করছে বলে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। মন্ত্রণালয় চায় না কোন শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কেউ যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। এছাড়া করোনা বিষয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটিও এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, যেহেতু সকল শ্রেণিতেই অটো পাশ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলার বিষয়ে সরকার তেমন কিছু ভাবছে না। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি, দাখিল ও সমমান এবং এপ্রিলে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন করার জন্য বিকল্প চিন্তা-ভাবনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। এক্ষেত্রে কেবল এসব শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত আকারে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে সিলেবাস শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি না, নাকি এই ছুটিটি আরও বাড়বে, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারব- এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখনও কাজ করছি। ১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব আপনাদেরকে (গণমাধ্যম) জানিয়ে দিতে।
দীপু মনি বলেন, সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনাকে চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি। এই চেষ্টাটি চালিয়ে যেতে হবে, এটিকে আরও কত ভালো করা যায়, কারণ করোনা কতদিনে যাবে, কতদিনে সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি খুলে দিতে পারব, সে বিষয়গুলো কিন্তু এখনও বেশি অনিশ্চিত। সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি, যে তাদেরকে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে তাদের সিলেবাস কি করে পুরোপুরি শেষ করতে পারে, এসব নানান জিনিস আমরা ভাবছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।