পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হৃদরোগে আক্রান্ত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার হার্টের এমপিআই (Myocardial Perfusion Imaging-MPI) টেস্ট করা হয়েছে। তার হার্টের সেল কতটা কার্যকর তা জানার জন্য এ পরীক্ষা করা হয়। এমপিআই টেস্টের রিপোর্ট আগামীকাল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউর চিকিৎসক ডা মনোয়ারুল কাদির বিটু। হার্টের এনজিওগ্রাম করার ২৮ দিন পর আজ বুধবার রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালের নিউক্লিয়ার কার্ডিওলজী বিভাগে এই পরীক্ষা করা হয়। এমপিআই হচ্ছে একটি প্রয়োজনীয় হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা যা দ্বারা হৃদযন্ত্রের রোগ (Myocardial ischemia or infarction) নির্ণয় করা হয়। এই টেস্টের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রিজভীর হৃদযন্ত্রের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন চিকিৎসকরা।
রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হার্টের ভায়াবিলিটি (কার্যক্ষমতা) দেখার জন্য এই এমপিআই টেস্ট করা হয়েছে।
এ সময় বিএসএমএমইউর চিকিৎসক ডা রফিকুল ইসলাম,ডা মোফাখ্খারুল রানা,ডা মনোয়ারুল কাদির বিটু,ডা জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালে রিজভীর হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এ সময় তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এ সময় তার ইকো কার্ডিওগ্রামও করা হয়।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরদিন ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে শ্যামলীর আদাবরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডা. রফিকুল ইসলাম বাসায় রিজভীর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন। রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বাসায় তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক রয়েছেন।
শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী গতকাল মঙ্গলবার বলেন, তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। বাসায় আসার পর থেকে শারীরিক তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলছেন তিনি।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রিজভীর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হলে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।