পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক শহীদ নুর হোসেনকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। গতকাল রাজধানীর গুলিস্থানের নুর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্টে) সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ফুল দিয়ে শহীদ নুর হোসেনকে স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধা জানান।
সকাল সাড়ে ৯টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডাকসুর সাবেক জিএস খাইরুল কবির খোকন, এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খান, সহ সভাপতি জাকির হোসেন, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক রাজু, সাগর, সহ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান, মহানগর পূর্ব সহ- সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার বেবী, ইডেন কলেজ সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া প্রমুখ।
এছাড়াও শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্ট, গণফোরাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি, বাম গণতান্ত্রিক জোট। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়।
১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে রাজধানীর রাজপথে আন্দোলনে সামিল হয়ে নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার এই আত্মত্যাগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বেগবান এবং পরবর্তীতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন খালেদা জিয়া
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, নূর হোসেন, রাউফুন বসুনিয়ারা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদকে উৎখাত করেছিলেন। তাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কারো পরিবারের কোনো খোঁজ রাখেননি। তাদের পাশে ছিলেন শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মাদ মোহাম্মাদ মন্নাফি।
এনামুল হক শামীম বলেন, খালেদা জিয়ার দুইবারের শাসনামল আমরা ভুলে যায়নি। বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তার সরকার। সেখান থেকে শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।
এছাড়া নূর হোসেন চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমান সরকার নূর হোসেনের রক্তের সঙ্গে, আত্মত্যাগের সঙ্গে বেঈমানি করে শাসন জারি রেখেছে।
জোনায়েদ সাকী বলেন, নব্বই সালের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনের যে মূল চেতনা, তা নূর হোসেনের মাধ্যমে প্রতীকায়িত হয়েছিল। নূর হোসেনের বুকে এবং পিঠে ‘স্বৈরাচার মুক্তি পাক’ লেখার মাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমান সরকার নূর হোসেনের রক্তের সঙ্গে, আত্মত্যাগের সঙ্গে বেঈমানি করে তার শাসন ব্যবস্থা জারি রেখেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করে তারা নূর হোসেনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।