Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধুনিক নৌযান নামানোর চিন্তা সরকারের সাংবাদিকদের নৌ-প্রতিমন্ত্রী

চক্রাকার নৌ-রুট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম


নৌ-খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহŸান জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,রাজধানীতে চক্রাকার নৌ-রুটে সরকার আধুনিক নৌযান নামানোর চিন্তা করছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার সদরঘাটে ওয়াটার বাস সার্ভিস পরিচালনা ও যাত্রীসেবা কার্যক্রম এবং কেরানীগঞ্জের হাইস্পিড শিপইয়ার্ডে নির্মণাধীন নৌযান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারো জীবিকার ওপর হাত দিতে চাই না। কিন্তু মানুষের জীবনটাকে নিরাপদ করতে চাই। এজন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আহŸান জানাচ্ছি তারা যদি যাত্রীসেবা দিতে এখানে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করতে চায় সেখানে আমরা স্বাগত জানাব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আপগ্রেড করার জন্য চেষ্টা করছি। এজন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আমরা উৎসাহিত করছি। তারা এগিয়ে আসলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আমরা চাই সব ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসুক। বেসরকারি উদ্যোগের জন্য আজ যাত্রীসেবায় অনেক বিলাসবহুল জাহাজ এসেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগ আরও বিস্তৃতি লাভ করুক। সেজন্য সরকার তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেবে। যাত্রী পারাপার নিরাপদ হয়েছে।

তিনি বলেন, যাত্রী পারাপার নিরাপদ করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এই সচেতনতামূলক কাজগুলো আগে খুব দুর্বলভাবে হয়েছে। সে কারণে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেজন্য বিআইডবিøউটিএর মাধ্যমে মূল বন্দরের দুই পাশ থেকে ওয়াটার বাস চালু করেছি। যেগুলো আগে সার্কুলার রুটে চলত। এজন্য এখানে যারা ডিঙ্গি নৌকা চালায় তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এ বিষয়ে সম্মতি রয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণের সাড়া পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা এই ব্যবস্থাকে আরো আপগ্রেড করব। তবে ওভারনাইট কোনো কিছু করা যায় না। ধীরে ধীরে করছি এবং এটা কি রকম ফলপ্রসূ হচ্ছে সেজন্য আজ পরিদর্শনে এসেছি। আর সদরঘাটের সুবিধাগুলো আরও বেশি আধুনিকায়ন করছি, এটা চলমান প্রক্রিয়া। ডকইয়ার্ড সরাতে খসড়া শিগগিরই। বুড়িগঙ্গার পাড়ের ডকইয়ার্ডগুলো সরাতে বিআইডবিøউটিএ একটি খসড়া চূড়ান্ত করছে এবং শিগগিরই সে বিষয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন শুধু জীবন ও জীবিকার জন্য এ নদীপথ ব্যবহার হচ্ছে। এর সাথে বিনোদনের জন্য এই নদীকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। আমরা ডকইয়ার্ড মালিকদের একটি সুপারিশ আমাদের কাছে উপস্থান করতে বলেছিলাম। তারা এখন পর্যন্ত সে সুপারিশ উপস্থাপন করেননি। ইতোমধ্যে বিআইডবিøউটিএর পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিভাবে এটা স্থানান্তর করা যায়। জায়গার সংকুলান রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া। আমরা সময়ের কিনারে চলে এসেছি। যেহেতু ডকইয়ার্ড মালিকদের কাছ থেকে কোনো সুপারিশ আসে নাই, তাই বিআইডবিøউটিএকে বলেছি এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, আমরা সেটার একটি খসড়া চূড়ান্ত করতে যাচ্ছি। সেটা অল্প দিনের মধ্যেই জানা যাবে। বুড়িগঙ্গার পাড়ের ডকইয়ার্ডগুলো সরাতে বিআইডবিøউটিএ একটি খসড়া চূড়ান্ত করছে এবং শিঘ্রই সে বিষয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের হাইস্পীড শিপইয়ার্ডে বিআইডবিøউটিসির জন্য দু’টি ফেরির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। ফেরি দু’টি আগামি বছরের এপ্রিলের মধ্যে পাওয়া যাবে। মিডিয়াম সাইজের প্রতিটি ফেরিতে ১২টি করে বাস-ট্রাক এবং ১০০ জন কর যাত্রি পারাপার করা যাবে। ফেরি দু’টি নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বিকালে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর দৈনিকবাংলা মোড়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ভবনে বিএসসি’র ৩০৬তম বোর্ড সভায় সভাপত্বি করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌ-প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ