Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নৌপরিবহন ও মৎস্য খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য কোরিয়ার প্রতি নৌ-প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ২:০৪ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের শিপিং সেক্টরের উন্নয়নে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল এবং লিকুয়িড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আজ (২৯ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গ্লাড হোটেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী মুন সিয়ং হাইত্তক এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া এ আগ্রহ প্রকাশ করে।
বৈঠকে তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে ব্লু বায়ো-টেকনোলজি, টাইডাল এনার্জি, ওসান সেফটি, মেরিটাইম সেক্টরে ট্রেনিং, বাংলাদেশের নাবিকদের চাকুরি এবং শিপ বিল্ডিংএর বিষয়গুলো তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর সফরসংগি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, যুগ্মসচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান এবং কোরিয়ার পক্ষে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কিম সিয়ং বাম ও পরিচালক চ্যাংগ কি উক উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিপুল জনসংখ্যার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশে নৌ সেক্টরে দক্ষ জনবল রয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বড় বাজার। দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের ভাল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি নৌপরিবহন ও মৎস্য খাতে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় কোরিয়ার বিনিয়োগের লক্ষ্যে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান। নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্ট খাতে কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রাপ্তিতে এ সফর সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী ২৮ আগস্ট কোরিয়ার বৃহত্তম বন্দর ‘বুসান বন্দর’ পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বন্দর ও এর আওতাধীন এলাকা উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছরের ১ এপ্রিল ঢাকায় একটি সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মাণাধিন বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক উন্নয়ন ডিটেইল ডিজাইন ও সুপারভিশনের জন্য কোরিয়ার কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং দায়েউ কোম্পানিকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
পায়রা বন্দরের ‘ডিপ ওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মাণ এবং বাংলাদেশের নতুন চারটি মেরিন একাডেমীর যেকোন একটির প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার বিষয়েও কোরিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ৩০ আগষ্ট দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌ-প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ