বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক স্ত্রী তাঁর স্বামীর পুরুষাঙ্গ (লিঙ্গ) ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৫ টায় সৈয়দপুর শহরের উপকণ্ঠে উত্তরা আবাসনের বিহারিপট্টিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাসিম মিয়া (৩০) নামের ওই ব্যক্তি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নাসিমের বৈমাত্রেয় বড় বোন মুক্তার দায়ের করা মামলায় তাঁর স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বিহারিপট্টির মৃত. হাফিজ মিয়ার ছেলে মো. নাসিম (৩০)। তাঁর প্রায় তিন বছর আগে একই আবাসনের শরিফুল ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুনের (২৪) সাথে বিয়ে হয়। নাসিম - রুমা দম্পতির নিশফা নামের ১৮ মাস বয়সী এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। নাসিম পেশায় একজন ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী। তিনি পেশাগত কারণে নীলফামারীর জলঢাকায় থাকেন। গত ৪ নভেম্বর মা ছকিনা বেওয়া মারা গেলে নাসিম মিয়া সৈয়দপুরে আসেন। সেই থেকে তিনি সৈয়দপুরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আর এরই মধ্যে স্বামী নাসিমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুমা খাতুনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) স্বামী-স্ত্রী রাতের খাবার দাওয়া শেষে আবাসনের একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। আর ওই দিন ভোরে স্ত্রী রুমা খাতুন পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁর ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। এ ঘটনার পর মারাত্মক আহত অবস্থায় নাসিম দ্রুত নিজের ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করতে করতে উত্তরা আবাসনের ৬১/১ ব্লকে বসবাসকারী তাঁর বৈমাত্রেয় বড় বোন মুক্তার কাছে ছুঁটে যান। এ সময় তাঁর পরণের প্যান্ট রক্তাক্ত দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার বিষয়ে সব খুলে বলেন। পরবর্তীতে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ( নাসিমকে) অটোরিকশায় করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নাসিমের বৈমাত্রেয় বড় বোন আবাসনের বাসিন্দা মোছা. মুক্তা বাদী হয়ে একটি সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ নাসিমের স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করেন। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত রুমা খাতুনকে নীলফামারী আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পারিবারিক কলহের কারণে রুমা খাতুন তাঁর স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে স্ত্রী রুমার পরকীয়ায় পড়ে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।