ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
বন্ধ ক্যাম্পাসে ভার্চুয়াল নিয়োগ বোর্ড বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে এই নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ভার্চুয়াল সাক্ষাতকারে প্রকৃত মেধাবী যাচাই প্রক্রিয়া ব্যহত হবে বলে এ প্রক্রিয়ার বিরোধীতা করেছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ।
এদিকে খুব প্রয়োজন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগে না যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে খুব প্রয়োজন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়োগ না দিতে বলা হয়েছে। তবে এ সময় নিয়োগ না দেওয়ায় ভাল।’
অন্যদিকে ভার্চুয়াল নিয়োগ বোর্ডের বিরোধীতা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আন্দোলনরত আ.লীগপন্থী শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘এই ইনস্টিটিউটের নীতিমালা এখনো প্রস্তুত হয়নি বলে এর আগে শিক্ষকদের বাঁধার দুইবার নিয়োগের বোর্ড স্থগিত করা হয়। তখন নীতিমালা সম্পূর্ণ করে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন ভিসি। কিন্তু সেই নীতি প্রণয়ন সম্পূর্ন না করেই আবারো তড়িঘড়ি করে ভার্চুয়াল নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে প্রভাষক নিয়োগ দিতে চেষ্টা করছে প্রশাসন।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা তিনটি দাবি তুলে ধরেন- আইআরএস সংক্রান্ত বিষয়ে সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত কমিটির কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা, এই ইনস্টিটিউটের নীতিমালা প্রণয়নে একাডেমিক কমিটির সাথে আলোচনা করা এবং নিয়মতান্ত্রিক সকল কার্যক্রম শেষ করে সরাসরি সাক্ষাতকারের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া।
এদিকে এই ইনস্টিটিউটের অধীনে কোন শিক্ষার্থী নেই। করোনার কারণে কবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে সেটা নিয়ে নিশ্চয়তা নেই। এমন অবস্থায় শিক্ষকেরও কোন প্রয়োজন নেই বলে মত শিক্ষকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।