দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৬৭ জনের। এ সময়ে নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৭৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ২৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার ১৪৫ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশে করোনায় আক্রান্তের চেয়ে এই ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের মধ্য থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৬০১টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৬০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৬০২টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৪৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও নারী চার জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন, খুলনা ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে ৪ জন। এছাড়া বরিশাল ও সিলেট বিভাগে এক জন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৭ জন। আর বাড়িতে মারা গেছেন এক জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ জন। আর আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮৭ হাজার ৩১৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭৫ হাজার ১৭৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ১৪২ জন।