পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারা দেশের সকল পর্যায়ের কমিটিতে নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শনিবার মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বর্ধিতসভায় যুক্ত হন কাদের।
তিনি বলেন, ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে। তাদের রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে। নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের জন্য তৃণমূল থেকে ডেডিকেটেড (নিবেদিত) কর্মীদের তুলে আনতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে হলে নিবেদিত প্রাণের কর্মীদের এগিয়ে আনতে হবে। ধর্ষকের মতো নরপশুদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ। মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, ভ‚মি দখলকারী, নারী অবমাননাকারী এবং নারী ধর্ষণকারী ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই।
কাদের বলেন, সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জেনারেল জিয়া। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিল যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনও ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে। ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অপরাধীদের প্রশয় দেয় না। দলীয় পরিচয়েও কেউ রক্ষা পান না। আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে। দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের শেকড়। জনগণ আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপি এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে, আওয়ামী লীগ নয়।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক, সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয় ও মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।