বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর তানোরের উপজেলার কলমা ইউনিয়নের গংগারামপুর বদলিপাড়া গ্রামে স্বামী আশরাফুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলেমা বেগমের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী রহিমা বিবি (৩৮) নামের দুই সন্তানের গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে আসামী করে নিহত গৃহবধূ রহিমার পিতা আফতাব উদ্দীন বাদী হয়ে তানোর থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায়। মৃত্যুর ঘটনাটি ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করা হলেও তা বিকালের মধ্যে গ্রামের লোকজন বিষয়টি জেনে যায়। বিকাল থেকে আশরাফুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলেমা বেগম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, উপজেলার গংগারামপুর বদলিপাড়া গ্রামের মৃত অসিম উদ্দিনের পুত্র আশরাফুলের সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের মালবান্দা শল্লাপাড়া গ্রামের আফতাব উদ্দিনের মেয়ে রহিমা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন স্বামী আশরাফুল। তাদের সাত বছরের ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ প্রতিবন্ধী এবং বারো বছরের বড় ছেলে আরিফ হোসেন।
তবে স্বামী আশরাফুল প্রথম স্ত্রী রহিমা বিবির অনুমতি ছাড়াই সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেন আশরাফুল। এরপর থেকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় গত প্রায় ১৫ দিন আগে স্ত্রী রহিমা বিবিকে নির্যাতন করে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বাধ্য হয়ে রহিমা বিবি পিতার বাড়িতে চলে আসেন। কিন্ত স্বামী আশরাফুল আর নির্যাতন করবেনা বলে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্বামীর বাড়িতে যেতে বলেন। তাদের কথায় এবং সন্তানদের কথা ভেবেই রাহিমা বিবি গত সপ্তাহে স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান।
নিহত মেয়ের পিতা আফতাব উদ্দীন জানান, কয়েকদিন ভালো থাকলেও গত বুধবার রাতে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নিজ ঘরে আশরাফুল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বালিশ চেপে মেরে ফেলে বারান্দায় রেখে দেয়। ওই গ্রাম থেকে মোবাইলের মাধ্যমে ঘটনা শুনে দ্রুত মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখি বারান্দায় লাশ পড়ে আছে।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।