পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ-এর সাথে বাংলাদেশ নিযুক্ত পাকিস্তানের মান্যবর হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গত বুধবার সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৫৪ এবং ৪৯৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, তবে এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসন একান্ত আবশ্যক। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে পাট ও পাটজাত পণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিখাদ্য এবং ঔষধ আরো বেশি হারে আমদানির আহবান জানান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দুদেশের চেম্বারগুলোর মধ্যকার যোগাযোগ আরো সুসংহত করার পাশাপাশি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ, বাণিজ্য মেলা, বিটুবি, রোড-শো আয়োজনের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও তিনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার উপরও জোরারোপ করেন।
পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি ও এ খাতসংশ্লিষ্ট সেবা খাতে বেশ দক্ষতা ও সফলতা অর্জন করছে। তিনি এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানসমূহকে পাকিস্তানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এছাড়াও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের পাকিস্তান থেকে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও টেক্সটাইল পণ্য আমদানির উপর জোরারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময় ও খরচে চায়না, মধ্য এশিয়ার দেশসমূহ এবং রাশিয়ায় পণ্য পরিবহন করা যাবে এবং এ সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশী শিল্পোদ্যোক্তাদের পাকিস্তানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএ, এফসিএস, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন, সচিব মো. জয়নাল আব্দীন, পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান এবং কমার্শিয়াল এ্যাসিটেন্ট গোলাম নবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।