পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকদিন কথা বলেন। অত্যন্ত সুবেশী মানুষ। চমৎকার একটা ঘরের মধ্যে চমৎকার একটা আসনের মধ্যে বসে খুব সুন্দর করে কথা বলেন। আমি শুনেছি তিনি ছাত্রজীবনে নাটক করতেন। আমিও নাটক করেছি একসময়। উনি সুন্দর করেই বলেন, একটাই বক্তব্য, প্রতিপাদ্য একটাই যে, বিএনপির এই নাই, বিএনপির ওই নাই-এসব। বিএনপি তো উনাদের কাছে নাই, উনারা বলছেন বিএনপি নাকি সংকটে পড়েছে, বিএনপিতে অন্ধকার। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন- আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়। আপনার মুখে এতো আলো কেন বিএনপির? কারণ আপনারা জানেন যে, বিএনপি হচ্ছে একমাত্র দল, যে রাজনৈতিক দলটি গণতন্ত্র আনতে পারে, অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে। আপনারা যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন তার অবসান করতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিএনপির মরহুম নেতা তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণকে জিম্মি করে সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে কাদের স্বার্থ রক্ষা করছে তারা? আপনারা দেখবেন, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি হয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম তিন-চারগুণ পাঁচ গুণ হয়ে গেছে। কাদের জন্য? তাদের লুটপাটের জন্য। তারা সিন্ডিকেট তৈরি করছে, সিন্ডিকেট তৈরি করে তারা সব মুনাফা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বেতন বাড়াচ্ছেন কাদের? সরকারি কর্মকর্তাদের। তিনগুণ-চারগুণ বেতন বাড়িয়েছেন। আর আমার কৃষক ভাইয়ের কী আয় বেড়েছে, শ্রমিক ভাইয়ের কী আয় বেড়েছে, আমাদের যারা ক্ষুদে ব্যবসায়ী তাদের কী আয় বেড়েছে? এই করোনাতে তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। বহু মানুষ আছে যারা দুই বেলা খেতে পায় না। আজকে সেই অবস্থা আপনারা তৈরি করেছে। আপনারা মানুষগুলোকে জিম্মি করে ফেলেছেন এবং তাদের আপনারাই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
জিডিপির প্রসঙ্গ টেনে অর্থনীতির এই ছাত্র বলেন, ওদের (সরকার) খারাপ লেগেছে আমি বলেছিলাম যে, আপনারা মিথ্যা কথা বলছেন উন্নয়নের কথা বলে, জিডিপি সম্পর্কে...। খারাপ লাগার তো কিছু নেই- দ্যাটস এ রিয়েলিটি। আপনারা যেকোনো অর্থনীতিবিদের কাছে যাবেন যিনি নিরপেক্ষ, আপনাদের উচ্ছিষ্টভোগী নয়, তাদের কাছে যাবেন, তারা আপনাকে বুঝিয়ে বলে দেবেন।
তিনি বলেন, আপনি যেকোনো কৃষকের কাছে যান, আপনি রিকশাচালক ভাই, শ্রমিক ভাইয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে, তারা কেমন আছেন? তার কোনো উন্নয়ন হয়েছে? উন্নয়ন হয়েছে আপনাদের, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তরিকুল ইসলাম কিশোরকাল থেকেই প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন, আগাগোড়া একজন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিশ্বাসী ছিলেন। সেই কারণে তিনি সর্বমহলের সর্বজনের মধ্যে তিনি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আস্থাশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তরিকুল ইসলাম ঢাকায় চলে আসতেন আগেই। তিনি পথে-প্রান্তরে বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মীদের সাথে মিছিল-মিটিং যোগ দিতেন। অর্থাৎ জনমুখী বা গণমুখী হতে হলে রাজনীতির কর্মসূচি পালনের মধ্যে যদি আমরা পথে না চলি, পথের সাথে না থাকি তাহলে পথ খুঁজে পাব না। আজকে সেই কারণেই বলব, তরিকুল ইসলামের আদর্শ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমিও তার জীবনের অনেক কিছু অনুসরণ করার চেষ্টা করি।
তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএনপির হাবিব উন নবী খান সোহেল, মরহুম তরিকুল ইসলামের ছেলে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, সেলিমুজ্জমান সেলিম, হারুনুর রশীদ, অপর্না রায়, তাইফুল ইসলাম টিপু, নিপুণ রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হারুন অর রশিদ, মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।