Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাটহাজারীতে বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন শিক্ষক-কর্মচারীদের

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ২:১০ পিএম

করোনা কারণে সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাটহাজারী উপজেলার বে-সরকারি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শত শত শিক্ষক-কর্মচারী। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সব শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারী স্কুল কলেজগুলোতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

জানা যায়, বেসরকারী কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের মাধ্যমে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন তুলতে পারছেন না প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। যার ফলে শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বে-সরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত ক্লাশ করে আসছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৭ মার্চ হতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় এসব বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষক উচ্চ শিক্ষিত হলেও বেশির ভাগ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা না পারছেন অন্যের কাছে সহযোগিতা চাইতে, না পারছেন পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে। কর্মহীন হয়ে পড়ায় বর্তমানে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, না পারছি রিলিফের জন্য কাউকে বলতে, না পারছি পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে। করোনাকালীন সময়ে কি যে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি আল্লাহই ভালো জানেন।

উপজেলা কিন্ডার গার্ডের স্কুলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা জানান, বে-সরকারি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত মাসিক বেতন ও ডে-কেয়ার বা কোচিং ক্লাশের অর্থের উপরই নির্ভরশীল। তাদের মাসের বেতন দিয়েই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা নিয়মিত বেতন দিচ্ছেন না। কেউ কেউ অর্ধেক বেতন দিলেও শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে পুরো মাসের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি কোন ডে-কেয়ার বা কোচিং না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক এখন বেকার হওয়ার উপক্রম।বর্তমানে স্কুল ছাত্রদের বেতন খুবই জুরুরী বলে মনে করেন শিক্ককরা।

এছাড়াও প্রায় সবগুলো স্কুলের অধিকাংশই বাড়ী বা জায়গা ভাড়া নিয়ে স্কুল করলেও বর্তমান নাজুক অবস্থার মধ্যে নিয়মিত ভাড়া দিতে না পারায় মালিকরা ঘর ছাড়ার তাগাদা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এই বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ