পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের ৩ কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আনা হবে। প্রথমে দেড় কোটি মানুষকে এ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। প্রতিজন ২৮ দিন পরপর একটি করে ডোজ প্রয়োগের মাধ্যমে মোট দুটি ডোজ দেয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের ঔষুধ শিল্পের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে বৃহস্পতিবার(05 নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সোমঝোতা সাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, সিরামিন ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি সন্দীপ মলয় প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশে কখন ভ্যাকসিন আসবে, কোনটি আনা হবে এসব নিয়ে কল্পনাজল্পনা ছিলো, বর্তমানে তার নিরসন হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেক্সিমকো, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসা শুরু হতে পারে। প্রথমে বাংলাদেশে ৩ কোটি ডোজ আনা হবে। বেক্সিমকোর গোডাউনে এজেন্ট হিসেবে এখানে দায়িত্ব পালন করবে, তাদের স্টোরে ভ্যাকসিন রাখা হবে। ভারত সরকারকে যে দামে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশেও একই দামে সিরাম ইনস্টিটিউট সেটি দেয়া হবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এ ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তৈরি করেছে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে এটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল হয়েছে। বর্তমানে এটি তৃতীয় ধাপে প্রয়োগ শুরু হয়েছে, যার কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মানুষের জন্য দুইটি করে ডোজ দেয়া হবে। দেড় কোটি মানুষ ২৮ দিন পরপর এ ডোজ দেয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশে আমদানী করতে চুক্তিতে শর্ত রয়েছে। প্রতিটি ডোজের জন্য সরকারিভাবে ৫ ডলার (৪৫০ টাকা) মতো ব্যায় হবে বলেও জানান তিনি।
প্রথম ধাপে কাদের ভ্যাকসিন প্রদানে অগ্রাধীকার দেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় কর্মরত আমাদের সম্মক যোদ্ধারা, স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মকর্তা, পুলিশ, অসুস্থব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তিদের অগ্রাধীকার দেয়া হবে। তবে পর্যায়ক্রমে এটি দেশের সকল মানুষের কাছে পৌছে দেয়া হবে।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, করোনা শুরু থেকে বেক্সিমকো ফার্মা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মনে করেছিলাম দুই-তিন মাসের মধ্যে করোনা চলে যাবে। সেটি যেহেতু হয়নি তাই আমরা ভ্যাকসিন তৈরিতে গবেষণা শুরু করি। আমরা চাই সবার আগে বেক্সিমকো বাংলাদেশের বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আমরা কিছু ভ্যাকসিন পাব। আমরা কম দামে নিরাপদ একটি ভ্যাকসিন আনতে কাজ শুরু করেছি। আমরা আশা করি অনুমোদিত একটি ভ্যাকসিক বিশ্ব বাজারে আসার পর দ্রুত আমাদের বাজারে নিয়ে আসা হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের কাছে এই দিনটি স্বরণীয়। বিশ্বের ৯টি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ৬টির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ। আমরা দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন পাব সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।