পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলশানের বাসিন্দা মরহুম মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ের কাছে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রবেশ নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত একইসঙ্গে মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি জমা দিতে বলেছেন। পাশাপাশি ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
গতকাল গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানত, দুই বোন মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশেরা মোস্তফা এবং তাদের সৎমা অঞ্জু কাপুর আদালতে উপস্থিত হন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে দুই বোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অঞ্জু কাপুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।
আইনজীবীরা জানান, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে ওই বাড়িতে বিনা বাধায় আত্মীয়-স্বজন প্রবেশ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর দুই বোনকে তাদের গুলশানের বাড়িতে প্রবেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে দুই বোনকে বাড়িতে প্রবেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। কিন্তু তারা বাসায় প্রবেশ করতে পারলেও তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে প্রবেশ করতে দেয়া হতো না। এ বিষয়টি নিয়ে আজ তারা হাইকোর্টে হাজির হলে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গুলশান-২ নম্বরের ৯৫ নম্বর রোডে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ির মালিক তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ। ১০ অক্টোবর ওয়াহিদ মারা যাওয়ার পর শত কোটি টাকার এ সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করছেন অঞ্জু কাপুর নামের এক নারী। তিনি নিজেকে ওয়াহিদের স্ত্রী বলেও দাবি করেন।
ওয়াহিদের দুই মেয়েকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। টানা ২১ দিন গেটের সামনে অবস্থান করেও তারা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে গুলশান থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর গত ২৫ অক্টোবর এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। পরে আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।