পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা না নেয়াসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর মহাখালীর ফ্লাইওভারের নিচে আমতলী সিগন্যালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় গুলশান, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। এ কারণে কিছুক্ষণ যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। দুপুরের পর তারা সড়ক থেকে উঠে গেলে তা স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ডিসেম্বরে সম্ভাব্য একটি প্রফ (প্রফেশনাল এক্সামিনেশন) আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ের মধ্যে এই পরীক্ষা দেয়া যাবে কি না তা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয় আছে। আমাকে বন্ড দিতে হবে যে আমি পরীক্ষার জন্য অ্যালাউ হওয়ার পর আমার যদি করোনা হয় তাহলে আমি পরীক্ষা দিব না। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার এই দায়ও কর্তৃপক্ষ নিবে না। এ কারণেই আমরা আন্দোলনে আছি।
এদিকে, কর্মসূচি চলার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আন্দোলনকারীদের ডেকে পাঠান। পরে ৬ জন শিক্ষার্থী মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে যান। একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী বলেন, ডিজি স্যারের কাছ থেকে আমরা আশানুরূপ কোনো কথা শুনতে পাইনি। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন পরিচালক এসে ৮ নভেম্বরের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, মৌখিক আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে দিলেও এর বাস্তবায়ন না হলে পরে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
প্ল্যাটফর্ম অব মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটির ব্যানারে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেয়া, সেশনজট নিরসন করে যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না ও করোনাভাইরাস মহামারীর সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে এর দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
এদিকে, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা পলাশ মিয়া। তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, রাজধানীর বাংলামটর এলাকায় একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন তিনি। প্রতিদিনের মত গতকাল সকালেও বাসা থেকে বের হন তিনি। কিন্তু বনানী আসার আগে দীর্ঘ যানজটের মধ্যে পড়েন। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করে বাস থেকে নেমে হেটে অফিসে পৌঁছান। তাই গতকাল তিনি সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।