Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে গজারিয়াবাসী

মো. সাহাব উদ্দিন, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে নির্মিত কালভার্ট ও সেতুগুলোতে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এর মধ্যে বাউসিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নয়াকান্দি গ্রামের কাজলী নদীর ওপর সেতুটি, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া-জামালপুর গ্রামের সংযোগ কালভার্টি, ভবেরচর ইউনিয়নের শ্রীনগর- মাথাভাঙা কালভার্টি ও ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলদপুর গ্রামের সেতুটি। বাউসিয়া ইউনিয়নের কাজলী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মাণ করেন। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেতুটির পূর্ব পাশে নিউহোপ ফিড লি. ও আনোয়ার সিমেন্ট সিট কোম্পানি জায়গা দখল থাকায় কোন সংযোগ সড়ক হচ্ছে না।
গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া গ্রাম ও জামালপুর গ্রামের মধ্যেবর্তী খালের ওপর নির্মিত কালভার্টি ৬ বছর হলেও কোন সংযোগ সড়ক হয়নি। মরহুম ওয়ার্ড মেম্বার আহম্মদ আলী কালভার্টের উভয় পাশে বাঁশের সাঁকো সংযোগ করে দিলে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ ফকির
ও কাইয়ুম জানান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ২২ লাখ ৯৯ হাজার কালভার্টি নির্মাণে ব্যয় হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় গুয়াগাছিয়া, শিমুলিয়া, বালুয়াকান্দি ও জামালপুর গ্রামবাসীর কোন কাজে লাগছেনা।
ভবেরচর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের মোল্লাবাড়ির পাশে খালের ওপর কালভার্টটি কোন ব্যবহার করা হচ্ছে না। ২০১৮ সালে কালভার্টি নির্মিত হয়। কালভার্টির পূূর্বপাশে গ্রামের সড়ক সংযোগ থাকলেও পশ্চিম কোন মাথাভাঙা গ্রামের সাথে কোন সংযোগ নাই। ফলে কালভার্টটি অব্যহৃত অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সেতুটি ২০০২ সালে তেরি করা হয়। তৈরি হওয়ার পর আদৌ কোন ব্যবহারে আসে নাই। সেতু ও কালভার্টগুলো ব্যবহার উপযোগী করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, আমি নতুন ভাই জানিনা। আপনি মোজাম্মেল সাহেবকে জিজ্ঞাস করেন। উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক ভূইয়া বলেন- সেতু বা কালভার্টগুলো ব্যবহার হচ্ছে অনেক দিন থেকে। তবে আগামীতে একটি জাপানি প্রজেক্ট আছে। আশা করি ঐ প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ