রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল শিবদিঘী পৌর মার্কেটে অনিয়মভাবে রাতের আঁধারে দোকান ঘর নির্মাণ করায় বাঁধা দিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কতিপয় ব্যক্তিদের নামে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে নতুন করে ৬টি দোকানঘরের জায়গা বরাদ্দ দিয়ে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ কাজ করাচ্ছেন।
এর আগে পৌর প্রশাসকের আমলে নির্মিত পৌর মার্কেটের মাছ মাংস বিক্রির হার্টশেটটি ভেঙে মার্কেট সংস্কারের অংশ হিসাবে স্থানতর করার সিদ্বান্ত নেয় বর্তমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এসময় এই হার্টশেটটি মার্কেটের র্পূব প্রান্তে আর পূর্ব প্রান্তের ৬টি দোকান হার্টশেটের স্থানে করার প্রস্তাব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হার্টশেটটি ভেঙে ফেলে সেখানে ৬টি দোকানের বদলে ১২টি ছোট আকারে দোকান বরাদ্দ করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে বাড়তি দোকান ঘরগুলো বরাদ্দে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি বা দোকান বরাদ্দে প্রচারণা না করে লোকচক্ষুর আড়ালে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে কতিপয় ব্যক্তিদের দোকান ঘরের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত শনিবার রাত্রী অনুমান ৯ টার সময় রইসুল ও হাসিবুুল নামক ২ ব্যক্তি রাজ মিস্ত্রি দিয়ে ঐ হার্টশেটের স্থান দোকানঘর নির্মান কাজ চলান।
এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বারসহ অনেকে জানতে চাই রাতের আঁধারে অনিয়মভাবে ব্যক্তি মালিকানায় পৌর মার্কেটের নতুন দোকানঘরের নির্মাণ কাজ হচ্ছে কেনো ? এমন প্রশ্ন তাদের। রইসুল বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ এক লাখ চেয়েছিল তবে তার থেকে কিছু কম দিয়ে ৬নং দোকান ঘরের পজিশনটি বরাদ্দ নিয়েছি। তিনি বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের শর্ত সাপেক্ষ অনুযায়ী নিজ খরচে দোকান ঘর নির্মাণ করে নিচ্ছি। স্থানীয়রা বলেন, তিনি কিভাবে এ দোকানের মালিক হলেন, কখন টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি হলো জানতে চাইলে তিনি কোন সঠিক জবাব দেয়নি। একপর্যায় দোকান ঘর নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। এছাড়াও নির্মিত দোকান ঘরের প্রাচীর ভেঙে দেয় বাধা প্রদানকারীরা। এদিকে হার্টশেট ঘেঁষে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনাকারী অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাকসবজি, পান সুপারিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছিলাম। প্রাপ্যতা অনুযায়ী আমাদের অতিরিক্ত ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়ার কথা। অথচ দোকান ঘর বরাদ্দ হয়েছে প্রভাবশালীদের নামে। কখন কিভাবে দোকান ঘরের জায়গা বরাদ্দ হল জানতেই পারলাম না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
পৌর মার্কেট তদারকিকারী ও পৌরসভার প্রধান সহকারী ডালিম মুঠোফোনে ঘর বরাদ্দে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, সেখানে নিয়মনুযায়ী ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যারা কাজের বাধা দিয়েছেন তাদের সাথে কথা বলবে পৌর মেয়র।
এদিকে পৌরসভার সাদেকুল ইসলাম, ওয়াহেদ আলীসহ একাধিক কাউন্সিলর জানান, পৌরসভা নিয়ন্ত্রনাধীন শিবদিঘী পৌর মার্কেটে নতুন করে ঘর বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এটা আমরা জানি না। র্দীঘদিন ধরে পৌরসভায় কোন সভা হয় না। কিভাবে এই কাজগুলো হচ্ছে আমরা তা জানি না।
পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি তাতে সাড়া দেননি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা জানান, মার্কেট নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সভা করতে হবে এবং রেজুলেশন আকারে সিদ্বান্ত নিতে হবে। প্রচারণার মাধ্যমে ঘর বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি আহবান করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।