বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম (৪৯) নামের এক ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এরআগে ভাড়া বাসার ৫তলা ভবনের উপর থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন ওই ব্যবসায়ী। তাজুল ইসলামের মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে (৩১) আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। এরআগে শনিবার সকালে মারা যান ওই ব্যবসায়ী। নিহত তাজুল ইসলাম কেশরপাড় গ্রামের জমাদার বাড়ীর আনোয়ার উল্যার ছেলে।
জানা গেছে, কেশরপাড় ইউনিয়নের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ব্যক্তিগত জীবনে তিনটি বিয়ে করেন। অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। এর সুবাদে স্থানীয় কানকিরহাট বাজারের আর.এস টাওয়ারের তৃতীয় স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৮অক্টোবর বুধবার সকালে ওইভবনের ৫তলার বেলকুনি থেকে নিচে পড়ে গুরুত্বর আহত হন তাজুল ইসলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান তিনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য তাজুল ইসলাম বিভিন্ন লোকজন থেকে টাকা নিয়েছিলেন। অনেকেরই টাকা দেনা ছিলেন তিনি। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী রাজিয়া বেগমের সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিলনা। অভিযোগ রয়েছে তাজুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রাজিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে নিজের দখলে নেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, নিহত তাজুলের লাশের ময়না তদন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা হয়েছে। শনিবার রাতে গ্রামের বাড়ীতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের প্রথম ঘরের একটি মেয়ের অভিযোগ ও মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় স্ত্রী রাজিয়াকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।