Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান শুরু কাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরবাসীকে মশা থেকে সুরক্ষা দিতে আগামীকাল থেকে মাঠে নামার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এ মুহূর্তে ডিএনসিসি এলাকায় ১২ জন ডেঙ্গু রোগী আছে।
ডিএনসিসি এলাকাকে ডেঙ্গু মুক্ত করতে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম (চিরুনি অভিযান) শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি। চিরুনি অভিযানের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। তবে এবার মশা বা ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসি ভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ডিএনসিসি স‚ত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে এই ১২ জন রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীর বাসার আশপাশে মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হবে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা যে সকল হাসপাতালে অবস্থান করছেন সে সকল হাসপাতালের আশপাশেও মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানিয়েছেন, নগরবাসীকে মশা থেকে সুরক্ষা দিতে এবং সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসি এলাকায় ১০ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম (চিরুনি অভিযান) শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। চিরুনি অভিযানের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে।

নগরবাসীকে মশা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে এবার চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক আমদানি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং আরও আনা হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আনা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসির সর্বত্র নিয়মিত লার্ভিসাইডিং (মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (উড়ন্ত মশা নিধনের কীটনাশক) অব্যাহত রয়েছে।

ডিএনসিসি আওতাধীন ৬২৯টি হট স্পটের মধ্যে ৪৬৮টি স্পটে ‘নোভা লিউরন’ নামের এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি সাধারণত ট্যাবলেট জাতীয় কীটনাশক। ১০ লিটার পরিষ্কার পানিতে একটি ট্যাবলেট এবং এটি ডোবা বা নালার পানিতে একই পরিমাণ পানিতে দুটো ট্যাবলেট মিশিয়ে দিলে প্রায় তিন মাস সেখানে মশার বংশবিস্তার বন্ধ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ওষুধে মশা মরে না। এটি শুধুমাত্র মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএনসিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ