রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কেশবপুর উপজেলায় এ বছর মশলা জাতীয় হলুদের ব্যাপক চাষ হয়েছে। বাজার মূল্য বেশি থাকায় চাষিদের মধ্যে এ মশলা জাতীয় হলুদ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার বন্যামুক্ত উঁচু এলাকা হাসনপুর ইয়উনিয়নের কাবিলপুর, হাসানপুর, ত্রিমোহিনি ইউনিয়নের বরনডালি ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ব্যাপক জমিতে এই মশলা জাতীয় কৃষিজাত পণ্য হলুদের চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাবিলপুর গ্রামে প্রভাষক মনোতষ ও এটিও তাপস দাসের হলুদ বাগান সবুজ গাছে মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চাষিরা জানান, হলুদ চাষে পোকা থেকে মুক্ত থাকতে পারলে অনেক লাভ হয়। যার কারণে এ উপজেলায় হলুদ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। তবে, এই সময় হলুদে বিভিন্ন রোগ আক্রমণ করে থেকে। বিশেষ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী হলুদ পচা রোগ, শ্বাসনালী বা কচিডগা পোকার আক্রমণের জন্য নিয়মিত ওষুধ দিতে হবে। পানি যাতে জমে না থাকে, তার জন্য পানি সড়ােেনা নালা করতে হবে। রোগের ওষুধ হিসেবে দানা কোস্টার, ও তরল টিল্ট, ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা বদরুদোযা বলেন, হলুদ রোপনে খরচ একেবারে সীমিত। বীজ ভেদে কাঠা প্রতি খরচ হয় মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। বীজ হলুদ ৭-৮ কেজি মূল্য ৫০০ টাকা। উৎপাদন হয়ে থাকে কাঠা প্রতি ৫-৭ মন। কাচা হলুদ প্রকার ভেদে বিক্রয় হয়ে থাকে ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা মন দরে। বর্তমান বাজারে প্রতি কাঠায় সর্বনিম্ন লাভ হয় ২৪০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা। হলুদ চাষ সময় কাল নয় মাস। তিনি আরও বলেন, হলুদে ক্যান্সার রোধক, হজম ভালো করে। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, তক মসৃন হয়, ব্যাড কোলস্টোর নষ্ট করে, ফ্যাটিলিভার ভালো হয়, রূপচর্চায় কার্যকরী ভ‚মিকা রাখে।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব সানা বলেন, গত বছর কেশবপুর উপজেলায় হলুদ চাষ হয়েছিল মাত্র ৬৭০ বিঘা জমিতে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১শ’ ২০ বিঘা। যা গত বছরের তুলনাই অনেক বেশি। কেশবপুর উপজেলার কৃষকের মশলা জাতীয় ফসলের চাষের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।