পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দশ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম (চিরুনি অভিযান) শুরু করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামী ২রা নভেম্বর থেকে এ অভিযানের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। গতকাল মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনলাইনে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময় ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত যে সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে, সে সকল হাসপাতালের আশেপাশে নিবিড়ভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন মেয়র। এছাড়া হাসপাতালে অবস্থানরত ডেঙ্গু রোগীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাসার আশেপাশে মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
মেয়র বলেন, যে কোনো মূল্যে নগরবাসীকে মশা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। এ জন্য আমরা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক আমদানি করেছি। ইতিমধ্যে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং আরো আনা হচ্ছে। সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ মুহ‚র্তে ডিএনসিসি এলাকায় ১২ জন ডেঙ্গু রোগী আছে। ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে এ সকল ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে এই ১২ জন রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বাসার আশেপাশে মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা যে সকল হাসপাতালে অবস্থান করছেন সে সকল হাসপাতালের আশেপাশেও মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসির নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদনগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট রয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কারা মহাপরিদর্শক ও ডিএনসিসির সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে তিনটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়। চিরুনি অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য একটি অ্যাপসে সংরক্ষণ করা হয়। অ্যাপসে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হয়েছে। এ সকল স্থানে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আনা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসির সর্বত্র নিয়মিত লার্ভিসাইডিং (মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (উড়ন্ত মশা নিধনের কীটনাশক) অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।