পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদ সদস্যদের ছেলে, মেয়ে ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের নানাবিধ অপকর্ম, উচ্ছৃঙ্খল বেপরোয়া জীবন যাপনের কারণে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবে এমন পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কিত দলের হাই-কমান্ড। জনপ্রতিনিধিদের সন্তানদের কারণে দল ও সরকারের বদনাম হচ্ছে। সৎভাবে জনপ্রতিনিধিরা তাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারছেন না। তাই কারা দলের ভবিষ্যত কান্ডারি হবেন তা নিয়ে চিন্তার ভাজ আওয়ামী লীগের।
সূত্র জানায়, হত্যা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, জমি দখল, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দখলবাজি, নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা প্রকল্পে লুটপাটসহ নানা কর্মকান্ডে মূল কলকাঠি নাড়ছেন বেশিরভাগ এমপির স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়রা। সঙ্গে তাদের পছন্দের কিছু বিতর্কিত নেতাকর্মী মিলে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাদের কথার বাইরে গেলেই মন্ত্রী-এমপির রোষানলে পড়ে দলের নেতাকর্মীরা। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের অপকর্মের কারণে অনেক এমপি মন্ত্রী নিজেদের পদ হারিয়েছেন। কিন্তু এরপরও থেমে নেই অপকর্ম।
এ নিয়ে দলের হাই-কমান্ডের যেন চিন্তার শেষ নেই। তাদের মতে, এমপি বা অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা তাদের সন্তানদের যোগ্য ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছেন না। বরং জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে স্ত্রী সন্তান অপকর্ম করছেন, আবার কোথাও কোথাও পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিরা অপকর্ম করছেন। এসব অপকর্মের কারণে অনেক এমপিকেই মনোনয়ন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় একই চিত্র, যাদেরই দায়িত্ব দেয়া হয় তারা একই কাজ করেন। সৎভাবে জনপ্রতিনিধিরা তাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, শুধু রাজনীতিবিদ নয়, ব্যবসায়ী, আমলা থেকে শুরু করে অনেকের সন্তানরাই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেড়ায়। কিন্তু সরকার কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। আইন সবার জন্য সমান, যেই অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সন্তান বা আত্মীয় স্বজনদের বেপরোয়া জীবন যাপনের জন্য পারিবারিক শিক্ষার অভাবই মূলত দায়ী। পরিবার থেকে সুশিক্ষা, ভাল আচরণ না শেখানোর কারণে এ সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমি একজন রাজনীতিবিদ ও অভিভাবক হিসেবে বলবো, সবাই যেন তাদের সন্তানদের প্রতি নজর রাখেন। হাজার কোটি টাকার সম্পদের চেয়ে সুসন্তান বেশি মূল্যবান।
এমপি স্ত্রী, পুত্র, আত্মীয়দের অপকর্মের বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, আইনের শাসনের অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এমনটা হচ্ছে। যাদের ক্ষমতা রয়েছে তারা বিভিন্ন পন্থায় অপকর্ম করেও দায়মুক্ত হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। এখনই তাদের লাগাম না টানলে ভবিষ্যত আরো খারাপ হবে। তিনি আরো বলেন, স্পিকারের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা দরকার যাতে সংসদ সদস্য বা তাদের পরিবারের কারণে যেন সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। তাহলে একটি দায়বদ্ধতা থাকবে।
সম্প্রতি গত ২৫ অক্টোবর ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন। এর পরদিন তাকে গ্রেফতার করে এক বছরের সাঁজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তাকে জনপ্রতিনিধি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছে।
ইরফান সেলিমের শ্বশুর একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি। শ্বাশুরী জেলার কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরীও বেপরোয়া উচ্ছৃঙ্খল জীবন করেন। শাবাব ২০১৮ সালের জুন মাসে ঢাকার মহাখালীতে সেলিম ব্যাপারী নামের এক চালককে গাড়ি চাপা দিলে সে মারা যায়। সে ঘটনায় সেলিমের পরিবার ন্যায় বিচার পায়নি। এককালীন ২০ লাখ এবং মাসিক ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়। এছাড়া করোনার মধ্যে ১৫ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের খুলশী থানার এক উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মতিঝর্ণা এলাকায় স্থানীয়দের দুই পক্ষের সংঘর্ষের একটি ঘটনা তদন্ত করতে যাওয়ার পথে লালখান বাজারে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা শাবাব চৌধুরীর গাড়ি। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন শাবাব। পরবর্তীতে গাড়িসহ তাকে থানায় নিলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। বর্তমানে শাবাবকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকের পদ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকার রাজনীতিতে একসময় বিশাল অবস্থানে থাকা সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া তার সন্তানরা ও কন্যার জামাতাকে নিয়ে বেশ বিব্রত। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দীপু চৌধুরী নানা অপকর্মে উত্তরা কাঁপাতেন। তার নেতৃত্বে উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব দখলে ছিল। ওই ক্লাবের আধিপত্য ও জমি দখল নিয়ে ২০০০ সালের দিকে তিতাস নামে একজনকে হত্যা পর্যন্ত করা হয়। দীপু চৌধুরী এ হত্যাকান্ডে জড়িত বলে অভিযোগ উঠলে দেশ-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। দীপু চৌধুরীসহ অন্য সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সে সময় মায়া চৌধুরী নৌ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী থাকাকালীন মেয়ের জামাতা নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারে জড়িয়ে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা তারেক সাঈদকে নিয়ে আবারও সামালোচনা হয়। সেভেন মার্ডারের ঘটনায় তারেক সাঈদের ফাঁসির রায় হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি পিনু খান এমপি থাকাবস্থায় তার পুত্র বখতিয়ার আলম রনি ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের রাস্তায় রিকশার জট দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে নিরীহ দুই ব্যক্তি মারা যান। এতে রনির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ছেলের এই অপকর্মের কারণে সে সময় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন পিনু খান।
ঢাকা-১৮ আসনে হাবিবুর রহমান মোল্লার পরিবারের অপকর্মের কারণে এবং পাবনা-৪ আসনে সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবারের সদস্যদের অপকর্মের কারণে উপনির্বাচনে দুই আসনেই পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।
সাবেক মরহুম স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের কর্মকান্ডে বেশ সমালোচনা হয়েছে। আমেরিকার বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তমালের এতো সম্পদের উৎস কি তা নিয়ে আমেরিকার বাংলা পত্রিকায় সংবাদও হয়েছে।
সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক তার স্ত্রী-পুত্রের কারণেই মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন-এ কথা স্বাস্থ্য সেক্টরের সব জায়গায় প্রচলিত। স্বাস্থ্যখাতের গডফাদার নামে খ্যাত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু কনট্রাকটারের সাথে মন্ত্রীর পুত্র ও স্ত্রীর সখ্য গড়ে ওঠে। মন্ত্রী থাকাকালে প্রথমে রুহুল হক ওই ঠিকাদারকে পাত্তা দিতে চাননি। কিন্তু পুত্র ও স্ত্রীর চাপে পড়ে রুহুল হক মিঠু সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয় মন্ত্রীকে। ঠিকাদার মিঠু ও মন্ত্রীর পুত্র যৌথভাবে রাজধানীর শ্যামলিতে সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে রুহুল হকের মন্ত্রিত্ব নেই। তবে তিনি আছেন সংসদ সদস্য পদে। এ পদেরও অপব্যবহার করছেন মন্ত্রীর স্ত্রী-পুত্র।
খুলনার ফুলতলা-ডুমুরিয়ার সংসদীয় এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়রা এসব অভিযোগ করে বলেন, দুই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে জমি দখল, বিভিন্ন দফতরে চাকরি বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই তাদের প্রভাব রয়েছে। মামলার ভয়ে এ নিয়ে মুখ খোলেন না এলাকার লোকজন। নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ছোট ছেলে অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ এবং মেয়ে জয়ন্তী রানী চন্দ ওরফে বেবি হারপিক পান করে আত্মহত্যা করেছেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী ওরফে শারুন চৌধুরী অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। এ ছাড়া নিজের সামনে দামি মদের বোতল ছড়িয়ে রেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দিয়েছেন নিজেই। গত কয়েক বছর ধরে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করছেন শারুন চৌধুরী। প্রায়ই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ধমকাধমকি করেছেন। হুইপ শামসুল হকের বিরুদ্ধে জুয়ার ১৮০ কোটি টাকা আয়ের অভিযোগ তোলা পুলিশ কর্মকর্তার বরখাস্ত হওয়ার খবরও দাম্ভিকতার সঙ্গে ছড়াতে দেখা গেছে তাকে। নগরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম চৌধুরীকে হুমকি দিয়ে ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন আগেও। চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম চৌধুরীকে টেলিফোনে শারুন বলেছিলেন, ‘গালবাজি যেখানে-সেখানে করবি রাস্তাঘাটে চড় মেরে মুখের দাঁত সবগুলো ফেলে দেব। বেআদব কোথাকার।’
সাতক্ষীরায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের ছেলে রাশেদ সারোয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মা এমপি থাকাকালীন চাঁদাবাজি, মারপিট, তরুণীসহ আটক, গণপিটুনিসহ নানা কারণে আলোচিত হয়েছিলেন এই এমপিপুত্র। সে সময় চাঁদাবাজির দুই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন।
রাজবাড়ি-২ আসনের এমপি জিল্লুল হাকিমের নাম ব্যবহার করে অবাধে অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে এমপির স্ত্রীর খুব কাছের মানুষ মজনু। স¤প্রতি এমপি পরিবারের দুর্নীতি অত্যাচার নিয়ে রাজধানীতে মানববন্ধন হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে বাপ-বেটার শাসন চলছে -এমন কথা এলাকার সবার মুখে মুখে। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে হিন্দুদের জমি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমপির ছেলের দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। জমি ফেরত চাইতে গেলে ওই পরিবারের লোকজনের ওপর এমপির বাহিনী হামলা করে। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
রাজশাহী-৩ আসনের মেরাজ উদ্দিন মোল্লা এমপি থাকাকালীন তার বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে মোহনপুর থানা, মেজ ছেলে জালাল উদ্দীনের নির্দেশে পবা থানা চলত। আর ছোট ছেলে মোস্তাক ছিলেন ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ণ পানি। কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি আফাজ উদ্দীন আহমেদের দুই ছেলের কাছেও জিম্মি ছিল দৌলতপুরের মানুষ। তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান এমপি সরওয়ার জাহান বাদশার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ কম্পিউটারে ফটোশপের মাধ্যমে ‘নিজের শরীরের অংশের’ সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুখমন্ডল লাগিয়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেন। যার পরামর্শে তিনি এটা করেছিলেন তিনি এমপির স্ত্রীর খুবই কাছের মানুষ বলে অভিযোগ রয়েছে।
গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি রহমত আলীর পুত্র জামিল হাসান দুর্জয় জমি জবরদখল, বালুমহাল, জুট ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, টিআর-কাবিখা লুট, বন কেটে উজাড় অভিযোগের কারণে গত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি রহমত আলী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি গোলাম রব্বানী ও তার পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাস, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ বাণিজ্য, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে নানা অনিয়মের কারণে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।