পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে চায় প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। তবে কোন কারণে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে লটারির মাধ্যমে ভর্তির বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ভার্চুয়াল এক সভায় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক।
জানা যায়, ওই সভায় রাজধানীর মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা গত বছরের মতো এবারো পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করানোর পক্ষে জোর দিয়েছেন। রাজধানীর ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাস্টারে তিন দিন পরীক্ষা নেয়া হলেও এবার প্রতিটি ক্লাস্টার তিন দিনে ভাগ করে মোট ৯ দিন পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলেও তাতে সকলের পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে পর্যায়ক্রমে অল্প সংখ্যক করে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন স্কুলের প্রধানরা। তবে কোন কারণে যদি পরীক্ষা গ্রহণ করা না হয়, সেক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে বলে সভায় মন্তব্য করেন মাউশির মহাপরিচালক। তাই কোনোভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে বলে জানান তিনি। মাউশির সহকারী পরিচালক (বিদ্যালয়-১) মো. আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, চলতি মাসে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। তবে কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সে কারণে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে এ-সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব এসেছে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১০ হাজারের বেশি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়ে থাকে। এসব আসনে ভর্তির জন্য প্রায় এক লাখের মতো আবেদন জমা হয়। এ কারণে ভর্তির সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বড় সমাগম হয়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভর্তি নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী, এবারো আগের মতো রাজধানীর ৪১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে আগে প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি বিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ দেয়া হলেও এবার প্রতিটিতে পাঁচটি করে মোট ১৫টি বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সকল বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাংশ আসন খালি রেখে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এসব আসনে বদলি হয়ে আসা সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানদের ভর্তি করানো হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে লটারি আয়োজন করা হলেও দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান ৫০ নম্বরে বাংলা, ইংরেজি ও অংক পরীক্ষা নেয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ভর্তিতে এই তিন বিষয়ে পূর্ণমান ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।