Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জের সবজির বাজারে আগুন

মো. হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচুর সবজি থাকার পরও দাম কমছে না। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা। সবজির দাম শুনে তাদের চোখে মুখে চিন্তার ভাজ, কী কিনবেন, কী কিনবেন না, এ নিয়ে তারা দিশেহারা। ক্রেতাদের অভিযোগ নিত্য পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছেন। আর ব্যবসায়ীরা অভিযোগ বন্যা ও অতি বৃষ্টি কারণে সবজির বাজারে এসেছে কম। এছাড়া সবজি চাষিদের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সরবরাহ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত অক্টোবরে শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু চলতি অক্টোবর বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা। বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকার পরিবর্তে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। চিচিঙ্গা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পরিবর্তে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। করলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। শশা ২০ থেকে ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
কাকরুল ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পরিবর্তে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। বাধাকপি ৪৫ থেকে ৫০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা। কাচামরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা পরিবর্তে ২৯৫ থেকে ৩০০ টাকা। আলু ২২ থেকে ২৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। গাজর ৫৫ থেকে ৬০ টাকার পরিবর্তে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পরিবর্তে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। টমেটো ৬০ থেকে ৬৫ টাকার পরিবর্তে ১২০ টাকা। মাঝারি আকারের লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পরিবর্তে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। ঢেঁরস ৪০ থেকে ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা সদর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের জুয়েল মিয়া বলেন, বাজারে সবজির দাম এতো বেশি যে এখন কি কিনবো বুঝতে পারছি না। আকাশ ছোয়া দামের প্রতি অস্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম শিথীল করতে হবে। দ্রুত কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নিলে অসহায় হয়ে পড়বে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সব পেশার মানুষ।
ভ্যানচালক রশিদ মিয়া ও রিকশাচালক আজিজ মিয়া বলেন, যে হারে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হাড়ে আমাদের আয় বাড়ছে না। তাহলে চলবো কি করে। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়াছে, আর আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছি বিপাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপণ্যের মূল্য যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সে জন্য তাদের কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে মোবাইল কোর্ট বসছে। এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিং হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ