Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-দোহার সড়কের বেহাল দশা

ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ

মুনীরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা-দোহার সড়কের কামারগাঁও-আল আমিন বাজার পর্যন্ত (দেড় কি.মি.) সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। গত ২০১৮-২০১৯ সালে শ্রীনগর থেকে দোহার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার হলেও কামারগাঁও-আল আমিন বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার বাকি থেকে যায়। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হাচ্ছে শ্রীনগর ও দোহারের সাধারণ জনগণকে।
জানা যায়, কামারগাঁও হরিসভা থেকে আল আমিন পর্যন্ত সড়কে প্রায় ৭-৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাক মোড় রয়েছে। এছাড়া রাস্তার বিভিন্ন অংশে খানাখন্দে ভড়ে গেছে। এমনকি সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে থাকে। তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঢাকা দোহার সড়কের একাধিক পরিবহনসহ অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক ও বিভিন্ন ছোট-বড় নানা ধরনের যানবাহন।
শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, কামারগাঁও হরিসভা থেকে তালুকদার বাড়ি পর্যন্ত বাকগুলো সরলীকরণের জন্য উদ্যোগ নেয় তারা। আর সড়কের পাশে কয়েকটি বসবাসরত পরিবারের জায়গা সড়ক সংস্কারের কাজের মধ্যে পরে যায়। ওই পরিবারগুলো সড়কের কাজে আইনগতভাবে বাঁধা প্রদান করেন। এরপর থেকেই দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ থাকে। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ আলমের নাম্বারে ফোন দিলে তিনি মোবাইলটি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে উল্টো নানা ধরনের প্রশ্ন করতে শুরু করেন একপর্যায়ে তার নাম জানতে চাইলে, তিনি তার নিজের নাম প্রকাশ না করে বক্তব্যে শুধু উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিখতে বলেন এবং ওই সড়ক নিয়ে ৮ ধারায় একটি মামলা চলমান রয়েছে বলে ফোনটি রেখে দেন।
স্থানীয় শিপন বেপারীসহ কয়েকজন বলেন, সড়কের সংস্কার কাজে বাকগুলো সরলী করতে তাদের জমি একোয়ার (অধিগ্রহণ) করার কথা থাকলেও এখনও তারা এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেননি। তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠকও হয়েছে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার হয়নি। তারা সুনির্দিষ্ট সুরাহা পেলে সংস্কার কাজে তাদের কোনো আপত্তি নেই। সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে থাকে। এতে করে প্রায় সময়েই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন পথচারী। এছাড়া শুকনো মৌসুমে খানাখন্দের ধুলাবালি ওড়ার কারণে পথচারীরা পড়ছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, স্থানীয়রা সড়কটি সংস্কার কাজে বাঁধা প্রদান করার কারণে কাজটি বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি সড়কটি তাদের নিজস্ব জমিতে নির্মিত হয়েছে। স্থানীয়দের সমস্যা সমাধান না হলে কাজ করা সম্ভব নয়।
এছাড়া সড়ক সংস্কারের যে বরাদ্দ এসেছে তা যদি ফেরত চলে যায় তাহলে আমাদের পক্ষে সড়কটির সংস্কার কাজ করা সম্ভব হবে না। এদিকে শ্রীনগর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ আলমের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারের আমি তার সাথে কথা বলবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ