বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাবা থাকেন প্রবাসে। মা জড়িয়ে পড়েন পরকিয়ায়। একপর্যায়ে তিন সন্তান রেখে ঘর ছাড়েন মা। পালিয়ে বিয়ে করেন নিজের চেয়ে ১০ বছরের ছোট প্রেমিককে। এর প্রতিশোধ নিতেই খুন করেন মায়ের নতুন স্বামীকে। খুনের মূল পরিকল্পনা করেন সাব্বির (২১)। তার সহযোগি হন বেশ কয়েকজন প্রতিবেশি। তাদের দুই জনকে পাকড়াও করার পর চাঞ্চল্যকর নবী হোসেন (২৮) হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মনসার টেক এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় নবী হোসেনের লাশ পাওয়া যায়। নবী হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পৌর এলাকায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, নবী হোসেন সম্প্রতি এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিন তার সাথে পরকিয়া চলছিল। এ ঘটনার পর ওই মহিলার বড় ছেলে সাব্বির (২১) তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। এতে বেশ কয়েকজন সরাসরি সহযোগীতা করে। হত্যা মিশনে অংশ নেয়া প্রাইভেট কারের চালক আশিক মিয়া (২৪) ও মাইক্রোবাসের চালক সুমন মিয়াকে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তিন সন্তান ফেলে পালিয়ে বিয়ে করায় সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন সাব্বির। এ প্রতিশোধ নিতে নবী হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে ১৫ অক্টোবর ভৈরব পৌর এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। ওইদিন ব্যর্থ হওয়ার পরদিন কৌশলে নবী হোসেনকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে ডেকে আনেন। সেখান থেকে প্রাইভেট কারে তুলে নেন। কারটি কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়িতে থাকা সাব্বির এবং তার সহযোগীরা নবী হোসেনের গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করে। এরপর একজন তার পায়ের রগ কেটে দেয়। অন্যজন তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। রক্তাক্ত লাশ প্রাইভেট কারের সিটের নিচে রেখে গামছা দিয়ে ঢেকে দেয়। ভৈরব থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে লাশ নিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়ায় আসেন তারা। ১৭ অক্টোবর দুপুরে লাশটি পটিয়ার মনসারটেক এলাকায় ফেলে দিয়ে তারা কক্সবাজারে চলে যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় সাব্বির এবং গ্রেফতার দুইজন ছাড়াও ৯ জন জড়িত। বাকি আমামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। হত্যার সময় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। মূল আসামি সাব্বির ঢাকায় ব্যবসা করেন। পিবিআই জানায়, নবী হোসেনকে খুন করতে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।