পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী মাসের মধ্যে সব মিলের শ্রমিকদের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। গতকাল বুধবার দুপরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলগুলোর অবসরপ্রাপ্ত ও অবসানকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, অর্থ বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ৮টি মিলের শ্রমিকদের পাওনা বাবদ মোট এক হাজার ৭৯০ কোটি ৫২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এই টাকা শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে।এছাড়া আগামী ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের হাফিজ জুট মিল। পরে খুলনার ইস্টার্ন জুট মিল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কার্যক্রম শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি খাতে নতুন করে মিলগুলো চালু করা হবে। কিন্তু সেটা কবে নাগাদ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করব। এরপর ব্যাংক লোনসহ বিভিন্ন পাওনা পরিশোধ করব। এরমধ্যেই আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলবে। আমরা বসে নেই, পিপিপি প্রক্রিয়া একটু সময় লাগবে। আমরা বসে নেই। প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রত সম্ভব বন্ধ মিলগুলো আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করতে। আমাদের পুরনো মেশিন আছে, সেগুলো কারা নেবে। সেগুলো বিক্রি করার পর আধুনিকায়ন করতে হবে। আর যারা নেবে তারা আধুনিকায়ন করবে, তাদের তো সে সময়টা দিতে হবে। একটি মেশিন আনতে গেলে দুই মাস সময় লাগে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। আর একটা বিষয় যারা লিজ নেবে তারা পুরাতন মেশিন নেবে কিনা সে বিষয়সহ লিজ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সব মিলিয়ে সামনের বছরের শুরুর দিকে লিজ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়। পাটমন্ত্রী বলেন, বন্ধ ঘোষিত পাটকলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি সার্বিকভাবে পাটখাতকে পুনরুজ্জীবিত এবং মিলগুলোকে উপযুক্ত মডেলে আধুনিকায়ন ও পুনঃচালুর লক্ষ্যে দু’টি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মিলে আগের অভিজ্ঞ শ্রমিকরা পুনঃকর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
পাটকল বন্ধের ফলে উৎপাদিত পাটপণ্যগুলো যেমন চট, ছালা ও বস্তা এখন কোথা থেকে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাটকল বন্ধ হওয়ায় আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি যাতে ধ্বংস না হয় সেজন্য আমরা এ কাজ করেছি। পলির বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ বা সোনালি ব্যাগ আনার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেটা এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে এ বিষয় প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু চোরাই পলি ব্যাগ বাজারে আসবে ও থাকবে। আমরা সবসময় মোবাইলকোর্ট দিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে তারা অভিযান চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, পাটের সোনালি ব্যাগ নিয়ে গবেষণা চলছে। আমরা শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডসেক করার পর এ বিষয়ে কাজ করবো। যেহেতু আমরা একটি ফেসে আছি, তাই এটা নিয়ে কী করবো পরবর্তীসময়ে জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।