পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন এবং বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ার কাজলের ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ড.শাহদীন মালিক। গত ১৫ অক্টোবর ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা করে ইসি। চরভদ্রাসন থানায় জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম এ মামলা দায়ের করেন। এজাহারের উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ বিধি অনুযায়ী নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হুমকি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের গালাগাল করেন নিক্সন। এর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় এবং এটি ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অশোভন আচরণের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দেয়। নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এজাহারে উল্লিখিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিক্সন চৌধুরীর সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদন্ড কিংবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডাদেশ দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে নিক্সন চৌধুরী দাবি করেন ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি তার নয়। সুপার এডিট করা হয়েছে। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এটি অসদুদ্দেশ্যে করে থাকতে পারেন।
এদিকে নিক্সন চৌধুরীর জামিনের শুনানি শেষে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড.শাহদীন মালিক বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানার (ইউএনও) কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার ঘটনায় সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমপি’র বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে তার সুরাহা করার দায়িত্ব স্পিকারের। তাই কোনও এমপি আইন ভঙ্গ করলে বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার দায়িত্ব স্পিকারের। এ বিষয়ে সরাসরি মামলা হতে পারে না। সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র এবং সকল নাগরিকের যোগাযোগের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এ বলা হয়েছে, সরকার জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে টেলিফোন কোম্পানিকে রেকর্ড (কোনও ব্যক্তির কথোপকথন) করতে আদেশ দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রেকর্ড করার আদেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আদেশক্রমে হবে। কিন্তু নিক্সন চৌধুরীর রেকর্ডের ক্ষেত্রে সে ধরণের আদেশ দেয়া হয়নি। তাই নিক্সন চৌধুরীর কল রেকর্ড প্রকাশ করায় সংবিধানের লঙ্ঘন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।