রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ২০ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়নি। অতি জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলায় ভোগান্তিতে রয়েছেন সাধারণ জনগণ। অসম্পূর্ণ সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সড়ক জনপথের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কটির ছাল চামড়া ওঠে যেয়ে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়। কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে যানবাহন চলাচল করেছে। মারাত্মক খারাপ অবস্থায় থাকার এক পর্যায়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে ২৫ কিলোমিটার নির্মাণ কাজে ১১০ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার বরাদ্দ হয়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে আঠারো মাইল নামক স্থান পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে এই টাকা ব্যায় ধরা হয়। দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের কাজটি পেয়েছেন মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক ২০ কোটি ৩০ লাখ ০৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন করেছেন। বাকি ২০ কিলোমিটার সড়কের কাজ রয়েছে অসম্পূর্ণ। কাজটি চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিলো।
এছাড়া, অসম্পূর্ণ নির্মিত সড়কের এক পাশের উচ্চতা আরেক পাশের চেয়ে অনেক কম রয়েছে। নিয়মানুযায়ী সড়কের প্রস্থও নির্মাণ হচ্ছে না। নিম্নমানের ইট, খোয়া, পাথর, পিচ ব্যবহার করা হচ্ছে সড়কে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এই কাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন, সাতক্ষীরা সড়ক জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দেখেও দেখেন না। তারা নিয়মানুযায়ী সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ করে চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সড়ক জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে যেতে বলেন। তবে, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ আন্তরিকতার সাথে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। সড়ক নির্মাণে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে শুভাষিনী হতে আঠারো মাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন করেছে। বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পেরে প্রতিষ্ঠানটি কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে। তিনি আরো বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সড়ক জনপথের কাছে তিন বছরের জন্য দায়বদ্ধ। সড়কে কোনো ধরণের ক্ষতি হলে প্রতিষ্ঠানটি তার নিজের অর্থ দিয়ে সেটি মেরামত করে দিতে বাধ্য।
ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার খোকন জানান, কাজে কোনো অনিয়ম করা হচ্ছে না। তবে, নির্র্দিষ্ট সময়ে পেরে না ওঠায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। কাজটি দ্রুত শেষ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।