Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপে নিজঘরে আগুন দিয়ে দগ্ধ-৫, আটক-১

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:০৮ পিএম

সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে মা-ছেলে’সহ ৫জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে ৩জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শামীম হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে রামহরিতালুক গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আহতদগ্ধরা হচ্ছেন, ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেন বাবুলের স্ত্রী আসমা বেগম (৩২), বাবুলের ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৫), রহুল আমিনের ছেলে মান্না (২২), আব্দুস শহিদের ছেলে সুমন (৩০) ও সালেহপুর শীবপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন (২২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ইসমাইল হোসেন বাবুলের ঘরে আগুন জ¦লতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তারা ছুঁটে গিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। এসময় ঘরে ভিতর আটকে পড়া আসমা বেগম, কামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে মান্না, সুমন ও তারেক আহত হয়। আগুনেদগ্ধ হয়েছেন তারা ৫জন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে অগ্নিদগ্ধ কামাল উদ্দিনের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সৎ মা আসমা বেগমের বিরোধ ছিল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধিন কামাল উদ্দিন বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা আসমা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আসমা তার বাবা, তাকে ও তার দুই ভাইকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তাদের ঠিকমত ঘরে ডুকতে দিতো না খাবার দিতো না। ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে সকালে সে নিজ কক্ষটি অকটেন দিয়ে জ¦ালিয়ে দিতে গিয়ে নিজে অগ্নিদগ্ধ হয়। সকালে স্থানীয় খলিপারহাট বাজার থেকে একটি বোতলসহ অকটেনগুলো সে ক্রয় করে আনে।

অগ্নিদগ্ধ আসমার বাবা আবুল কাশেম বলেন, তার মেয়ের সুখ সহ্য করতে না পেরে সৎ ছেলে কামাল আসমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ঘরে রেখে অকটেন দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি আসমাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাচ্ছেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ ৫জনের মধ্যে আসমার শরীরের প্রায় ৯০ভাগ, কামালারের ৩০ভাগ ও তারেকের ১৫ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়–য়া জানান, কামালের সাথে তার সৎ মা আসমার জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সকালে ওই জায়গা জমির দলিলগুলো পুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য অকটেন ক্রয় করে আনে কামাল। পরে ঘরে এসে সেগুলোতে আগুন দিতে গিয়ে পুরো ঘরে আগুন লেগে কামালসহ বাকীরা দগ্ধ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনায় কামালের শ্যালক শামীমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ