পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে ধর্ষণের উৎসব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের মা-বোনেদের নিরাপত্তা নেই। দেশের কেউ নিরাপদ নয়।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা ও নওগাঁয় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন বাতিলের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে এতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশে যে নির্বাচন কমিশন আছে এটা একটা ঠুটো জগন্নাথ। এদের লজ্জা-শরম বলতে কিচ্ছু নাই। ঢাকা-৫ এ দশ শতাংশ ভোট পড়েছে তারা বলছে। আমরা মনে করি ৫ পার্সেন্ট ভোটও পড়ে নাই। তারা বলছে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, একটা মানুষের তো লজ্জা-শরম-হায়া থাকে। এদের সেই লজ্জা শরম হায়াটুকুও নাই। নির্বাচন যেমনই হোক অবলীলায় বলে যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'নির্বাচন এখন একটা তামাশায় পরিণত হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, কথাটা তো তিনি মিথ্যা বলেননি। এই নির্বাচন তো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে ২০২৪ সাল থেকেই। আপনারা যখন ক্ষমতায় এসেছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আপনারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে, এই দেশের জনগণ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে যাতে ভোট দিতে না পারে, তার জন্য আপনারা সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। তার প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের মা-বোনেরা কেউ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে বাংলাদেশে এবং তার জন্য দায়ী কে?
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা ভাইরাস বলেন, ধর্ষণ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি বলেন, সবকিছুই নির্ভর করছে একটা নির্বাচিত সরকারের উপরে। একটা নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া কখনো এই সমস্যার সমাধান হবে না।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, এদেশের মানুষকে জেগে উঠতে হবে। আজকে খুব আশা পাচ্ছি, আশান্বিত হচ্ছি, এখানে যাদের দেখতে পাচ্ছি অধিকাংশই তরুণ। যুবকৎ-তরুণ ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের নেতৃত্বে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।