Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উখিয়ায় মাদককারবারীদের হামলায় কলেজ শিক্ষক আহত

তিন দিনেও হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়নি

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১:৩০ পিএম

উখিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় মারাত্নক আহত হয়েছেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।

তিনি উখিয়া উপজেলার চাকবৈঠা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। ২৮ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক।

গত শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মোজাফফর আহমদের পিতা বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

আহত মোজাফফর আহমদ এর ছোট ভাই গয়ালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোক্তার আহমদ জানান, কোভিড-১৯ এর কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমানে বড় ভাই বাড়িতে অবস্থান করছে।

এই সুবাধে তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষকে ইয়াবা,মাদক ও অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধের বিষয়ে দোকান-পাটে বসে কথাবার্তা বলতেন। যার ফলে গ্রামের খারাপ প্রকৃতির লোকেরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয় ।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশ্ববর্তী ফাতেমা বেগম নামের এক মহিলার লাশ দেখে ফেরার সময় আগে থেকে মদ্যপ অবস্থায় উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে।

চাকবৈঠা এলাকার মৃত ছৈয়দ কাশেম চৌধুরীর ছেলে একাধিক মামলার আসামী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪১), তার স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম (৩৫), আজিজুর রহমানের ছেলে মনজুর আলম (৩২), আবুল হোসনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫), এবং গয়ালমারা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনজুর আলম (৩৫) তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।

তখন তার সুচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত মোজাফফর আহমদ বলেন, এলাকার ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থাকার কারনে এসব মাদক কারবারিরা তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আল্লাহর হুকুমে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা আমি বেঁচে যাই। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মামলা না করার জন্য সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এই সংক্রান্ত ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

তবে তিন দিনেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ