পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তার জন্য আমাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন। তবে এখনো কোন ভ্যাকসিনই চূড়ান্ত হয়নি। এগিয়ে থাকা ভ্যাকসিনগুলো তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে। ভ্যাকসিন পেতে আমরা যোগাযোগ করছি। অতি শিগগিরই স্বল্পমূল্যে, আবহাওয়ার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ভ্যাকসিন আমদানি করা হবে। দেশের মানুষ সময় মতো ভ্যাকসিন পাবে।
গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সোসাইটি অব সার্জন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ দুর্যোগে সার্জনদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সামনে শীতকাল আসছে। এ সময় করোনা দ্বিতীয় সংক্রমণ ঘটার আশংকা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় দ্বিতীয় সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে যেনো সংক্রমণ না বাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিকে লক্ষ রাখতে বলেছেন। এ সময় বিয়ে সাদি বেশি হয়, পিকনিক বেশি হয়। সাধারণ মানুষ বেড়াতে কক্সবাজারে যায়। এছাড়া সামনে পূজা আছে, শীতে ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়, ইত্যাদি কারণে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সকল অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এর কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে এমন আশংকা করা হচ্ছে। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যদি সত্যিই দ্বিতীয় ঢেউ আসে আমরা সেটা মোকাবেলা করতে পারবো। সে ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে। এছাড়া এন্টিজেন পরীক্ষা শিগগিরি শুরু হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ। এই চার চিকিৎসক নেতাই স্বাস্থ্যখাতে আমলাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, বিজ্ঞানীদের আমলারা নিয়ন্ত্রণ করেত চায়। এটা খুবই দু:খজনক। স্বাস্থ্যখাত আমলারা দখলে নিতে চায়। তারা দখলের পায়তারা করছে। এ জন্য তারা ১৯৬২ সালের পাকিস্তানের আইন খুজে বের করে এনেছে। প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের পদ আছে ১১৩টি, বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন ৬১০ জন। এদের পাদায়ন করতে স্বাস্থ্য খাতে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমলাতন্ত্র দেশে জেকে বসেছে। তারা বলেন, দেশে মাতবরি করার কোন অধিকার সরকারি কর্মচারীর নেই। তাদের কাজ সরকারের নির্দেশনা পালন করা। কিন্তু করোনাকালীন তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে। সিএমএসডির বর্তমান পরিচালক প্রসঙ্গে বলেন, এখানে একজন অতিরিক্ত সচিব পদায়ন করা হয়েছে। যিনি মহাপরিচালকের অধীনে চাকরী করেও তারা সভায় যোগ দেন না, তার নির্দেশনা মানেন না। যা খুশি তাই করছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, যার অধীনে কাজ করেন তারা সভায় আসতে না পারলে চাকরি ছেড়ে চলে যান, ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আমরা এর আগেও হুশিয়ারি করেছি। কিন্তু আমলাদের কানে পানি যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যখাতে আমলাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে দেশের চিকিৎসক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সচিবের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বক্তব্যের সমলোচনা করে চিকিৎসক নেতারা বলেন, তিনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ড থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন আনা হবে। এমন আজগুবি খবর কোথায় পেয়েছেন। যে তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৈরি করবে ১০টি ডোজ। সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ বাংলাদেশে আনা হবে এ কথা তিনি কোথায় পেয়েছেন।
সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. এএইচএম তৌহিদুল আলম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নূর হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।