পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের আর্থিক অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, আর্থিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইচ্ছেমতো আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। গতকাল রোববার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়সমূহের বাজেট সংক্রান্ত দু’দিন ব্যাপী সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ভিসি যদি আর্থিক বিষয়ে আউট অব লাইন করে, আপনাদের (ট্রেজারার এবং অর্থ হিসাব বিভাগের পরিচালক) দায়িত্ব প্রথমে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করা। এরপরও ভিসি যদি কোন অনিয়ম করেন, তাহলে এর দায়ভার তাঁকেই (ভিসি) নিতে হবে। যদি বিশেষ প্রয়োজন হয় কিংবা কাজটি করার ক্ষেত্রে আপনাদের (ট্রেজারার এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক) ওপর চাপ থাকে এবং বিশ^বিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ইউজিসি’র পরামর্শ ও অনুমোদন নিয়ে কাজটি সম্পাদন করতে পারেন।
বাজেট এবং আর্থিক বিষয় যেকোন প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রফেসর শহীদুল্লাহ বলেন, শুধু বাজেট তৈরি করলেই হবে না, বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে এক খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ আরেক খাতে ব্যয় অগ্রহণযোগ্য। আর্থিক বিষয়ে পূর্ণ নিয়মের মধ্যে চলতে হবে। এ খাতে ১৯-২০ হওয়া যাবে না। প্রতিটি খাতের ব্যয় সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের কাছে ইউজিসি’র প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে আরো স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার সুনিশিচত করবে।
বাজেট বাস্তবায়নে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালককে শক্তিশালী ভ‚মিকা রাখার আহবান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কাজ ভিসিদের সামনে আর্থিক বিধি-বিধান, পে-স্কেল, অডিট আপত্তিসহ বাজেটের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা। পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক স্বাধীনতা আর আর্থিক স্বাধীনতা এক নয়। প্রত্যেক বিশ^বিদ্যালয়ে নিজস্ব আইন, নীতিমালা ও বিধি-বিধান রয়েছে। এগুলো পূর্ণমাত্রায় মেনে চলতে হবে। অর্থ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। এখাতে শৃঙ্খলা না থাকলে বিশ^বিদ্যালয় সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যাবে না।
প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের করোনা সংকটে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় না করার আহŸান জানান। এছাড়া, নির্দিষ্ট খাতে ও কোডে ব্যয়ে নিয়ম, বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পরামর্শ দেন। কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বাজেট সভায় বক্তব্য রাখেন- ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ^জিৎ চন্দ, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। এছাড়া, সভায় ইউজিসি’র বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।