রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুরে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। ৪০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকা। কমছে না পেঁয়াজ, চাল, ডালের দামও। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা।
গতকাল রোববার বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, উছতে ৮০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, শীতকালীন শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩৫ টাকা, বরবটি সিম ৪০ টাকা দ্বারা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলার পুরানবাজারে কাঁচাবাজার করতে এসেছেন ক্রেতা মজিবর রহমান ও কুলসুম তারা বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকায় এভাবে বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছে। যার কারণে আমরা নিজেদের চাহিদা মতো বাজার করতে পারছি না। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকলে বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না। আরেক ক্রেতা সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজেরছাত্র শহিদুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের চেয়ে কম সবজি কিনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ আসাদুজ্জামান নামের এক ক্রেতারও। তিনি বলেন, অতিরিক্ত দামের কারণে বাজার থেকে সবজি কিনে খাওয়া মুশকিল। প্রায় একই তথ্য জানালেন শহরের নতুন বাজারের কাঁচা তরকারি-বিক্রেতা মকবুল, আনোয়ার হোসেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক ক্ষেতেই সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে এর ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।
এদিকে, শহরের সব বাজারে বাসমতি, মিনিকেট ও স্বর্ণা ধানের দাম মণপ্রতি গড়ে ১০০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে শহরের পাইকারি আড়তগুলোতে ৫০ কেজি ওজনের মোটা চালের বস্তা ছিল দুই হাজার টাকা। দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। এছাড়া, মিনিকেট ২ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে দুই হাজার ৩০০ টাকা, স্বর্ণা ১ হাজার ৯০০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকায়। দামের ঊর্ধ্বগতির জন্য খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা দায় চাপাচ্ছেন মিল মালিকদের ওপর। তারা বলছেন, মিল থেকে মোটা চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোকামগুলোতে সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌরসভার বাজার পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় ফসলের উৎপাদন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি চক্র সিন্ডিকেট করে কিছু কিছু দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই দুর্ভোগ বেড়েছে ক্রেতাদের। এমতাবস্থায় প্রশাসনে বাজার মনিটারিং জোরদার করা দরকার।
বাজার মনিটারিং বিষয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, বর্তমানে ইলিশ মাছ নিধনরোধে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযানে রয়েছে। কেউ বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করলে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।