পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষণ-যিনা ও ব্যভিচার বন্ধ, সিলেটে পুলিশ হেফাজতে যুবক রায়হানের মৃত্যু ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত আছে। গতকাল শনিবারও নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মিছিল-সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়। এসব সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, শুধু আইন করে ধর্ষণ-ব্যভিচার বন্ধ করা যাবে না। এজন্য অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, অপসংস্কৃতি বন্ধ করে ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে হবে। ইসলামী সংগঠনগুলো তাদের মিছিল-সমাবেশ থেকে ধর্ষণ-ব্যভিচার বন্ধে ইসলামী আইন প্রণয়নেরও দাবি তুলেছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা চত্বরে এক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, যারা ক্ষমতায় আছে তারা এক ধরণের বিচারহীনতার সুবিধা ভোগ করছে। সেই সুবিধা তাদেরকে নানা অপকর্মে প্ররোচিত করে। এর মধ্যে দুর্নীতি, লুটপাট, খুন, ধর্ষন অন্যতম। চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত যিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণ বিরোধী এ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান ভঙ্গুর ব্যবস্থার অধীনে আইন পাশ করে যিনা ব্যভিচার ও ধর্ষণরোধ সম্ভব নয়। ধর্ষণসহ সকল অনাচার থেকে জনসাধারণের মুক্তির জন্য চিরশান্তির পথ ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।
মহানগরীর সভাপতি মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ আবুল কাশেম মাতব্বর, আল মুহাম্মদ ইকবাল, মাওলানা সানাউল্লাহ নুরী, ওলামা-মাশায়েখ নেতা মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, মাওলানা আমজাদ হোসাইন, ছাত্রনেতা জামাল উদ্দিন মুহাম্মদ খালেদ, এইচএম মোসলেহ উদ্দিন, শ্রমিক নেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ডা. রেজাউল করীম রেজা প্রমুখ। সমাবেশে নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মা-বোনদের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব অপকর্মে জড়িতদের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। কারণ এসব ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অবিলম্বে নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনাসহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণের সাথে জড়িত ধর্ষক ও সন্ত্রাসীদের বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।