পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান নামের যুবক হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বগইর গ্রামে। তার বাবার নাম জাফর আলী ভ‚ইয়া। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে আকবর দ্বিতীয়। পুলিশ হেফাজতে সিলেটে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দেশের সর্বত্রই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে কনস্টেবল পদে পুলিশে চাকরি হয় আকবরের। এরপর ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে এসআই হন। এসআই হওয়ার পর আকবর ও তার পরিবারের অবস্থা পাল্টে গেছে বলে জানান গ্রামের লোকজন। করেছেন নামে বেনামে অনেক জায়গা-জমি। দেখিয়েছেন ক্ষমতার প্রভাব। আবার অনেকে বলছে, তার বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বাবার পেনশনের ২০ লাখ টাকা দিয়ে বাড়ির কাজ করেছেন। তার ভাই সিঙ্গাপুরে থাকেন। সেও অনেক টাকা বেতন পান ও বাড়িতে পাঠান। জায়গা-জমি যা রয়েছে তাও তার বাবার এবং দাদার আমলের।
আশুগঞ্জের বগইর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামে দৃষ্টিনন্দন একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। বাড়িটির প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাইরের দিক থেকে দেখতে আলিশান হলেও ভেতরের অবস্থা তেমন না। বাড়ির সামনে গেটের কাজ চলমান। তার ছোট ভাই আরিফ ভ‚ইয়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করে।
আকবরের পরিবার নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল। তার পিতা জাফর আলী ভ‚ইয়ার নামে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। আসামি হয়ে এক মাস জেলও খেটেছেন। আবার অনেকেই বলেছেন অভিযোগটি পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং মামলা থেকে খালাসও পেয়েছেন। তবে আকবরের পুলিশে চাকরি হওয়ার পরে তাদের পারিবারিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এটা সত্য। আকবরের এক বন্ধু জানান, আকবর নাটক করতেন এবং নায়কের অভিনয় করতেন। সিলেটের ঘটনায় সেই অভিনয়ের নায়ক থেকে ভিলেন হয়ে গেলেন।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের জানান, গত কয়েক দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে দেখেছি আকবরের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণীত। তার বাবা কোন দিন দুর্গাপুর ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলো না। এমনকি বিএনপির রাজনীতির সাথে কখনও জড়িত ছিলো না। বিএনপির ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য তা প্রচার করা হয়েছে। তবে সিলেটের ঘটনায় অপরাধী যেই হোক না কেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সি জানান, সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের কারণে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিন্দনীয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। আকবর হোসেন ভ‚ইয়া এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে আশুগঞ্জবাসী লজ্জিত। অনেকেই বলছে পরিবারটি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আকবর হোসেনের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে কখনো জড়িত ছিলো না।
আকবরের ছোট ভাই আরিফ ভূইয়া জানান, আমার ভাই এ ধরণের কাজ করতে পারে না। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এটা একটা ষড়যন্ত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।