পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার কারণে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ফলাফল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আগামী ডিসেম্বরে এই ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কি পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়েছিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা। এই বৈঠকে আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ইউজিসি’র চাওয়া ভর্তি পরীক্ষা যেন কোনক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এজন্য আগামীকাল শনিবার আবারও ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সদস্যরা। বিকেল ৩টায় ওই বৈঠক থেকে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জানাবেন তারা। জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকে (গতকাল) আমরা ইউজিসির সাথে একটি বৈঠক করেছি। সেখানে ভর্তি পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পদ্ধতির বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, তারা কিভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করবে এবং শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। ইউজিসির এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। আমরা শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বসে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করবো।
জানা যায়, এবার এইচএসসি ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বিবেচনায় না নেওয়ার কিংবা খুব অল্প পরিমাণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। বিকল্প হিসেবে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রস্তাব থাকতে পারে।
ইউজিসির সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম জানান, সাধারণ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষার পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ বিবেচনায় নেয়। কিন্তু এ বছরের অবস্থা ভিন্ন। তাই কিছু বিকল্প সমাধান খুঁজছেন তারা। অন্যতম বিকল্প হিসেবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এইচএসসির জিপিএ বিবেচনায় না নেওয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আরেকটি বিকল্প হলো এইচএসসির চেয়ে এসএসসির ফলাফল বেশি বিবেচনায় আনা। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং শিক্ষকরা এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করলে তবেই তা চূড়ান্ত করা হবে। তবে ইউজিসির অন্যান্য সদস্যরা জানান, তারা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে।
এদিকে গতকালকের সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সমগ্র জাতি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা চাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দরকার। ইউজিসি’র চাওয়া ভর্তি পরীক্ষা যেন কোনক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা মোটেও সমীচিন হবে না বলেও ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের মতে, হল খোলা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার উদাহরণ তারা সভায় তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম বেগবান করা এবং শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমে বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ত করার জন্য ভিসিদেরকে আহŸান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই সভায় যুক্ত ছিলেন- কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ^জিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরীন আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগণ, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।