পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে মিছিল ও শোভাযাত্রা বন্ধ থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি এবং সব সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। এছাড়া, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদরদপ্তরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারে করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানস্থলে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পপরিসরে দর্শনার্থীদের পূজামন্ডপে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে কোভিড আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সমন্বয় সভায় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময়, পূজা চলাকালীন ও বিসর্জনের সময় মোবাইল পেট্রোলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকাভিত্তিক পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করবেন। পূজামন্ডপ ও আশপাশে পকেটমার, ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশের টহল ডিউটি থাকবে। দুর্গাপূজার সময় সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। এছাড়া গুরুত্ব বিবেচনায় পূজামন্ডপগুলো ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসোপোজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তায় কোনো ধরনের মেলা বসতে দেওয়া হবে না। রমনা কালী মন্দিরের সামনের রাস্তায় মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকায় বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। বিসর্জনের দিন যে সব রুট দিয়ে বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে সে সব সড়কে রাস্তা/ফুটপাতে হকার, রাস্তায় কোনো প্রকার মালামাল লোড ও আনলোড করতে এবং কোনো যানবাহন পার্কিং করতে দেওয়া যাবে না। পূজা উপলক্ষে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, সার্কাস ইত্যাদি আয়োজন করা যাবে না এবং উচ্চ শব্দে বাজনা বাজানো নিরুৎসাহিত করাসহ পটকা ও আতশবাজি না ফোটানো নিশ্চিত করতে হবে।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, আনসারের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি ও বাংলাদেশ রামকৃষ্ণ মিশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।