বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেছেন, আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। এ কর্মকান্ডে সর্ব সাধারনের সাথে সাথে বাউল সাধক কবি সাহিত্যিকরা বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ভবিষ্যতেও সাধারণ জনতাকে সাথে নিয়ে বাউল সাধক কবি সাহিত্যিকরা এগিয়ে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে ছিলাম, আছি থাকবো। জেলার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, মনিষী ও সাংস্কৃতিকজনদের জীবন ও কর্মকথা বিষয়ক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার। তিনি বলেন, প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করতে যেয়ে স্রস্টার সাথে মানুষের সংযোগ ঘটেছে। স্রষ্টাকে লাভের আশায় সংস্কৃতি চর্চা করছেন। এই অঞ্চলের মানুষরা ভাগ্যবান।
জেলা প্রশাসক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মকথা উল্লেখ করে বলেন, এই ভূমিতে জন্ম নিয়েছিলেন জাতির পিতা। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের উত্থান এই ভূমিকে বিশ্বে পরিচিত করে তুলে। তারই নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। সাংস্কৃতিক কর্মীদের দৈন্য দশার কথা উল্লেখ করে জনাব অতুল বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা খুব কম। দু চাজন ছাড়া। আর্থিক দৈন্যতা কবি সাহিত্যিকদের একটা বৈশিষ্ট্য। বাউল কবি সাহিত্যিকদের সাংসারিক বিষয় সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, তাদের সংসারের প্রতিও খুব একটা খেয়াল থাকে না। তারা জীবন ব্যাপী জীবনকে উপভোগ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্ব শ্রেণির মানুষের খোজ রাখছেন, তিনি বাউল কবি সাহিত্যিকদেরও ভুলে যাননি। করোনাকালীন বাউলদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সহায়তার করা হয়েছে। এছাড়া ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ যতদূর সম্ভব সাহায্য করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে বাউল ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা সব সময় সুখকর পথে থাকতে পারেননি। সমাজের কুৎসিত রূপ সাংস্কৃতিক কর্মীরা নানাভাবে তুলে ধরেন। একারনে তারা অতীতে প্রায়শঃই নানাভাবে নির্যাতিতও হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে বাউল শাহ আব্দুল করিমের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, তাকে একঘরে করে দেয়া হয়েছিল। সমাজের একটি শ্রেণি একান্ড করেছিল। এভাবে বহু সাংস্কৃতিক কর্মীকে সমাজে অবাঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। এখন সমাজ বদলেছে। সামাজিকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মী, বাউল, কবি সাহিত্যিকরা এগিয়ে যাচ্ছেন। এই সাংস্কৃতিক কর্মী-বাউল-কবি-সাহিত্যিকদের সাথে তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন বলে ঘোষনা প্রদান করেন। করোনাকালীন সকলকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা একসাথে পথ চলবো। করোনার বিষয়ে সচেতন থাকবো সবাই, কাউকে হারাতে চাই না। সবাই এগিয়ে যাবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রিজভী জামান। অন্যান্যের মধ্যে বাউল রুপক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজ ই কবীর খোকন, আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশল, আলাউদ্দিন আলী, আসমা আক্তার মুক্তা, আনিছুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।