বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২০১৮ সালে শামীম নামের একজনের সাথে ঝগড়া হয় তুষারের, সেই ঝগড়ায় মারামারিতে ফেটে যায় শামীমের মাথা। সেসময় শামীমকে উসকানী দিয়ে তুষারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বলে সাংবাদিক ইলিয়াস। এছাড়াও জজ মিয়ার বাড়িতে গ্যাসের লাইন নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় তুষার ও ইলিয়াসের। সেই জের ধরেই হত্যা করা হয়েছে বন্দরের সাংবাদিক ইলিয়াসকে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে নিজের দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহামেদ হুমায়ূণ কবীরের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামী তুষার।
এর আগে, ১২ অক্টোবর বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত নির্দেশে গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামী তুষার, মিনা ও মিসির আলীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এর আগে, গত ১১ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধারা চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কোপানো হয় সাংবাদিক ইলিয়াসকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় ঘটনার রাতেই সাংবাদিক ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
আসামীরা হলেন- তুষার (২৮), মিনা (৬০) ও মিসির আলী (৫৩), হাসনাত আহমেদ তুর্জয়(২৪), মাসুদ (৩৬), সাগর (২৬), পাভেল (২৫) ও হজরত আলী (৫০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ এএসআই তাহমিনা বলেন, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আসামি তুষার বিজ্ঞ আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়েছে বিজ্ঞ আদালতে।
ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী তাওলাদ হোসেন জানান, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক বিজয়ের সংবাদকর্মী ইলিয়াছকে শনিবার রাত আটটার দিকে জিওধারা চৌরাস্তা এলাকায় একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষার ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে ইলিয়াছকে মারধরের পর শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দ্রুতপালিয়ে যায় তারা। পরে গুরুতর অবস্থায় ইলিয়াকে সদরের জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
তাওলাদ হোসেন ঘটনার বনর্ণা দিতে গিয়ে বলেন, আমি দেখলাম তুষার ইলিয়াছকে বাবা মা তুলে গালিগালাজ করে বুকে একটা ঘুষি দেয়। আর বলতে থাকে, তুই কতো বড় সাংবাদিক হইছিস আমি এখন তোরে দেখাইয়া দিব। এই বলে ইলয়াছকে মারধর করতে করতে টেনে হেঁচড়ে একটা অন্ধকার স্থানে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর কাছে গিয়ে দেখি ইলিয়াছের গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তার বুকে ও পেটে তিন চার জায়গায় ছুরিকাঘাতের ক্ষত। সেই ক্ষত স্থান গুলো দিয়ে সমানে রক্ত ঝরছে। পরে তার স্ত্রীকে ফোন করে খবর দেই। তারা আসলে আমি সহ এলাকাবাসি ইলিয়াছকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে আনি। পরে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
নিহত ইলিয়াছের ভাগিনা পলাশ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী তুষার আর তার বাহিনী এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে। আমার মামা তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করছে বলে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।
দৈনিক বিজয় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ সেন্টু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী তুষার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিক ইলিয়াছকে টার্গেট করে তারা। সেই থেকে ইলিয়াছের প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।