পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দু’দিনের এক তাৎপর্যপূর্ণ সফরে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বাইগান ঢাকা পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার বিকালে স্পেশাল ফ্লাইটে দিল্লি হয়ে ঢাকা পৌঁছান তিনি। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে এ অতিথিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা সফরের প্রথম দিনেই মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বাইগান বাংলাদেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করছেন। রাতে গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি শুরু হয়। নৈশভোজের মধ্য দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়। রাতে ভোজ-বৈঠকের আলোচনার ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক হবে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রীর। ওই বৈঠকের পর মোমেন-বাইগান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। মূলত সেই ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার বিষয়ে জানানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ দুপুরে মার্কিন উপ-মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে যাবেন। দুপুর ১২টায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার সৌজন্য সাক্ষাতের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একাধিক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে এলেও স্টেট ডিপার্টমেন্টের নাম্বার টু বা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদধারীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। তাছাড়া ওই পদে বাইগানের মতো হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব, যিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন। তার কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু আদায়ের সূযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালও পরিদর্শন করতে পারেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে পরিদর্শন শেষে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যৌথ ব্রিফিংও হতে পারে। সরকারী কর্মসূচী ছাড়াও গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, শ্রম খাতের প্রতিনিধি, এনজিও ব্যক্তিত্বসহ অন্যদের সঙ্গেও তার একান্ত আলাপ এবং মতবিনিময়ের আয়োজন রয়েছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার আলোচনায় ঢাকা এসেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই কূটনীতিক। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয় পক্ষ থেকেই সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই সফরে ঢাকার ফোকাস থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়টি।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফরে ডেপুটি সেক্রেটারি বাইগান সকলের সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ভারতের নয়া দিল্লিতে পৌঁছান। গতকাল ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে তিনি ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ইন্ডিয়া-ইউএস ফোরামে প্রধান বক্তা হিসেবে মূল বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।