Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতে সেই নূর হোসেন: অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৪৪ পিএম

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ৩টি মামলায় আদালতে স্বাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১ থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালতে স্বাক্ষীদের এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এসময় কাঠগাড়ায় আসামী নূর হোসেন, মো.আলি, জামাল ও সেলিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নূর হোসেনের বড় ভাই নূর উদ্দিন, ভাতিজা শাহজালাল বাদলসহ জামিনে থাকা অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এড. (এপিপি) জেসমিন আহমেদ বলেন, সকাল ১১ টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাত খুন মামলার ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আদালতে হাজির করা হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্বাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালত পাড়ায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তিনি আরো জানান, এদিন আদালতে ২০১৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির একটি ও অস্ত্র ২ টি মামলায় নূর হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ব্রাঞ্চ সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার জানিয়েছেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি মামলায় আজ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আগামী ১২ নভেম্বর।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল ১১ টার দিকে নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে পুনরায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এরপর থেকে নূর হোসেন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ