Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষকের মাঝে হাহাকার জমিতে পানিবদ্ধতায়

তিতাস (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মীরবহরী খালটি ভরাট করার ফলে ৮শ’ একর জমিতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে কৃষকদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। ওই ইউনিয়নের কলাকান্দি ও আফজলেরকান্দি গ্রামের মীরবহরী চকে পানি থইথই করছে। এ সময়ে কৃষকরা হালচাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা এবং শাক-সবজি চাষ করে বাজারে বিক্রি করার কথা। আর এমন সময় এখানে বর্ষার পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাকান্দি মীরবহরী খালটি প্রভাবশালীরা ভরাট করে বাড়ি নির্মাণসহ অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ করেছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় চকের চতুর্দিকে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও কালাচানকান্দি গ্রামের হাজী ওমর আলীর বাড়ির পাশে কলাকান্দি-জাহপুর সড়কে মালিকানা জমির উপর একটি কালভার্ট থাকলেও এবার ওই গ্রামের ৩শ’ সদস্য বিশিষ্ট ভাই ভাই মৎস্য প্রকল্প করার পর ওই কালভার্টটিও বন্ধ করে দেয় মৎস্য প্রকল্পের লোকজন। এতে করে আরও বিপাকে পড়ে মীরবহরি চকের কৃষকরা।
এ বিষয়ে কলাকান্দি গ্রামের গুলজার মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কলাকান্দি-জাহপুর সড়কের কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। এবার হঠাৎ করে ভাইভাই মৎস্য প্রকল্পের সভাপতি কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্যরা কালভার্টটি বন্ধ করে দেয়ায় এই পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মৎস্য প্রকল্পের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, সকল সদস্যদের মতামতের বৃক্তিতে কালাচানকান্দি ও কলাকান্দি মিলে প্রায় ৩শ’ সদস্য ৭০-৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ একর জমিতে মৎস্য চাষ করেছি। তবে এই জমিগুলো সবই মালিকানাধীন। তিনি আরও বলেন, ওমর আলী হাজীর জমির উপর দিয়ে বিগত সময়ের চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ আলী মালিকানাধীন জমির উপরেই একটি কালভার্ট নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে মৎস্য চাষ করার ফলে জমির মালিক কালভার্টটি বন্ধ করে দিয়েছেন এবং প্রকৃতপক্ষে জায়গাটি সরকারি নয় বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী হাজীর জমির উপর দিয়েই মূলত কালভার্টটি করেছিলেন। এখানে কোনো সরকারি জমি বা খাস জমি নেই। তবে মীরবহরী চকের পানিবদ্ধতা নিষ্কাশনের জন্য এলাকাবাসীদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার প্রচেষ্ট চালাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ